- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪
আবার নতুন করে হিংসা ছড়াল মণিপুরে, সংঘর্ষে নিহত ২
দীর্ঘদিন শান্ত থাকার পর আবার নতুন করে হিংসা ছড়াল মণিপুরে। রবিবার ইম্ফল পশ্চিম জেলায় কুকি জনগোষ্ঠীর বিক্ষুব্ধরা ড্রোন, বোমা এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে কাউতরুক গ্রামবাসীদের আক্রমণ করে। এই ঘটনায় ৩১ বছর বয়সী এক মহিলাসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। কয়েকজন আহত। মণিপুর সরকারের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে এখবর জানানো হয়েছে।
রবিবার দুপুরে একদল কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদী অতর্কিতে মেইতি সম্প্রদায় অধ্যুষিত ওই গ্রামটিতে হামলা চালায়। পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়।কুকি বিচ্ছন্নতাবাদীদের গুলিতে মেইতি সম্প্রদায়ের এনগাংবাম সুরবালা নামে এক মহিলা মারাত্মকভাবে জখম হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ইম্ফলের আঞ্চলিক ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ওই মহিলার ৮ বছরের মেয়েও গুলিতে আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জন পুলিশকর্মীও রয়েছেন।
মণিপুর স্বরাষ্ট্র বিভাগের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘কুকি জঙ্গিরা নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালায়। এতে একজন নিহত হয়েছেন। ২ জন আহত। কুকি জঙ্গিদের এই ধরনের কাজকে রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাজ্য সরকারের নেওয়া প্রচেষ্টাকে বিঘ্ন ঘটানোর প্রচেষ্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে।’ এর আগে, কাংপোকপি জেলার নাখুজাং গ্রাম থেকে ইম্ফল পশ্চিম জেলার কাদাংবন্দ এবং কাউতরুক এলাকার দিকেও গুলিবর্ষণ হয়েছিল। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ইম্ফল পশ্চিমে মেইতিদের আধিপত্য থাকলেও, কাংপোকপিতে কুকি–জো সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ।
এদিকে, কুকি উপজাতিদের সংগঠন ‘কুকি ইনপি মণিপুর’ অভিযোগ করেছে যে, ‘কাংগুই–লামকা’ সড়ক বরাবর কুকি–জো বেসামরিক লোকদের উপর অতর্কিত হামলা হয়েছিল। যার ফলে আরামবাইয়ের সম্মিলিত বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। কুকি–জো সম্প্রদায় চুরাচাঁদপুর, কাংপোকপি এবং টেংনোপাল জেলায় সমাবেশ করার একদিন পর এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল। সমাবেশে পৃথক প্রশাসনের দাবি আবার তুলে ধরা হয়। তারা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের ভাইরাল অডিও ক্লিপগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে, যে ভিডিওতে কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছিল।
❤ Support Us