Advertisement
  • দে । শ
  • জানুয়ারি ১৩, ২০২৩

আজ গঙ্গা বিলাসের নদীযাত্রার শুভ সূচনা।এক যাত্রায় ৩২০০ কিমি পথ পাড়ি দেবে নতুন প্রমোদতরী, পথে পড়বে একাধিক দর্শনীয় স্থান

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আজ গঙ্গা বিলাসের  নদীযাত্রার শুভ সূচনা।এক যাত্রায় ৩২০০ কিমি পথ পাড়ি  দেবে নতুন প্রমোদতরী, পথে পড়বে একাধিক দর্শনীয় স্থান

আজ  বিশ্বের দীর্ঘতম নদীপথ যাত্রার সূচনা  হতে চলেছে ভারতীয় উপমহাদেশে। তিন হাজার কিমির বেশি পথ পাড়ি দিয়ে ফের ভারতে প্রবেশ করবে নতুন প্রমোদ তরী এম ভি গঙ্গাবিলাস।

গত সপ্তাহেই  উত্তরপ্রদশের তথ্য ও জন সংযোগ দফতর জানায় যে আগামী ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গঙ্গা বিলাস নামক এক বিলাসবহুল প্রমোদ তরীর যাত্রার শুভ সূচনা করবেন।  ঘোষণা অনুযায়ী আজ  তরীটি উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে আসামের ডিব্রুগড় পর্যন্ত যাত্রা শুরু করল। যাত্রাপথে সময় লাগবে ৫১ দিন। পথিমধ্যে এটি বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে এক দীর্ঘ পথ যাবে। অন্তত ১৫ দিন থাকবে সেখানে। পাটনা, সাহিবগঞ্জ, কলকাতা,ঢাকা ,গুয়াহাটি সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর অতিক্রম করবে এই প্রমোদতরীটি। সমগ্র যাত্রাপথে একাধিক ন্যাশনাল পার্ক সহ ৫০ টি প্রসিদ্ধ সমস্ত দর্শনীয় স্থানের সাক্ষ্মী থাকবেন ভ্রমণকারীরা। তার মধ্যে বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাট যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে সুন্দরবনের ডেল্টা এলাকা। আর রয়েছে আসামের ব্রহ্মপুত্র নদে গড়ে ওঠা মাজুলি ব-দ্বীপ ও কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক। প্রত্যেক ভ্রমণকারীর এতে খরচ পড়েছে  ২৫০০০ টাকা। ১ মার্চ আসামের ডিব্রুগড়ে শেষ হবে এই প্রমোদতরীর যাত্রা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জলপথ পরিবহনে নয়া যুগের সূচনা হবে এই ক্রুজের মাধ্যমে। বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রুজের উদ্বোধন  করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সালের আগে দেশের জলপথগুলি সেভাবে ব্যবহার হত না। কিন্তু নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে ১১১টি জাতীয় জলপথ শুরু করেছে। পরিবহন ,বাণিজ্য ও পর্যটন- তিন ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে নয়া জলপথগুলি। উপস্থিত ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। এই অনুষ্ঠানে এসে তিনি  জানান, রাজ্যের স্থানীয় প্রথা মেনে ক্রুজের অতিথিদের স্বাগত জানানো হবে। ঘুরিয়ে দেখানো হবে বিহারের ঐতিহাসিক স্থানগুলি। এসেছিলেন  উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন যে, নয়া ক্রুজের হাত ধরেই কাশীর নতুন পরিচয় প্রকাশিত হবে। এই অঞ্চলের সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যাবেন ক্রুজের যাত্রীরা। 

উল্লেখ্য, গঙ্গা বিলাস বেসরকারী উদ্যোগে প্রস্তুত হলেও কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের অধীনে থাকা অন্তর্দেশীয় জল পরিবহন কর্তৃপক্ষ এর নির্মাণকার্যে সহায়তা করেছেন। এম ভি গঙ্গা বিলাসে রয়েছে তিনটি ডেক। ৩৬ জনকে নিয়ে চলতে পারে এই প্রমোদতরীটি। ৩২ জন সুইজারল্যাণ্ডের নাগরিক ইতিমধ্যেই যাত্রার  জন্য  টিকিট কেটেছেন। সমস্ত রকম বিলাস বহুল জিনিসের ব্যবস্থা করা রয়েছে এই   জলযানে ।  ১৮ টি  স্যুট রয়েছে প্রমোদতরীতে। প্রধান ডেকে আছে রেস্তোরাঁর ব্যবস্থা যেখানে ৪০ জন বসতে পারে। রয়েছে ফরাসী ব্যালকনি, এল ইডি টিভি,  স্মোক ডিটেক্টর  এবং করভার্টিবল বেড সহ সমস্ত আধুনিক ব্যবস্থা। নদী বক্ষ থেকে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তর মনোরম দৃশ্য উপভোগ করবার জন্য রয়েছে সানডেক। উপরের ডেকে বারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান উত্তরপ্রদেশের পর্যটন মন্ত্রকের এক আধিকারিক।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জলপথ পরিবহনে নয়া যুগের সূচনা হবে এই ক্রুজের মাধ্যমে। বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রুজের উদ্বোধন ক্রুজের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সালের আগে দেশের জলপথগুলি সেভাবে ব্যবহার হত না। কিন্তু নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে ১১১টি জাতীয় জলপথ শুরু করেছে। পরিবহন ,বাণিজ্য ও পর্যটন- তিন ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে নয়া জলপথগুলি।

৬ তারিখই জলযানটি বারাণসীতে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার জন্য এটি গাজীপুরে ২ দিন আটকে থাকে।  ভ্রমণকারীরা ১০ তারিখই এই জলযানে  উঠে পড়েছিলেন।  ১৩ তারিখের উদ্বোধনের আগে সেদিন আশে পাশের কিছু দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখায় জাহাজটি। যার মধ্যে ছিল দশাশ্বমেধ ঘাট আর কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের নব নির্মিত করিডোর। আগেই কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল জানিয়েছিলেন অন্তর্দেশীয় জল পথে পর্যটনের ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা। এই প্রমোদতরীর সূচনা নদী পর্যটনের ক্ষেত্রে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে বলবে তার ধারণা। আজকের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন যে  বিদেশি ভ্রমণকারীরা এই নৌকা বিহারের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পর্কে পরিচিত হবেন। যার ফলে বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে উপমহাদেশের কৃষ্টি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অনেক অজানা দিক।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!