ইজরায়েলের বোমায় দূষিত জলকূপ, তীব্র সঙ্কট গাজায়

ফিলিস্তিনের ওপর ইজরায়েলের হামলায় গাজায় সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মানুষ না পাচ্ছে খাবার, না পাচ্ছে চিকিৎসার সুবিধা। জলসঙ্কট এমন জায়গায় পৌঁছেছে, সর্বকালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন গাজা। রান্নার জল তো দুরের কথা, নূন্যতম পানীয় জলও দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। ইজরায়েলের বোমা হামলায় জলের একটা কূপও অবশিষ্ট নেই। ফলে বিপজ্জনক জল পান করতে হচ্ছে সকলকে।

উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের ধূসর, ধুলোময় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে একটি জলের অস্থায়ী বিতরণ কেন্দ্র খুঁজে পাওয়ার আশায় অনেকেই প্রায় দেড় ঘন্টা পায়ে হেঁটে পাড়ি দিচ্ছেন। শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া আহমেদ আল–শেনবারি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‌জাবালিয়ায় সব কূপ বুলডোজ করা হয়েছে। একটাও জলের কূপ অবশিষ্ট নেই। জবালিয়ায় জল এখন একটা বড় ট্র্যাজেডি।’‌

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েল ফিলিস্তিনের ওপর আক্রমণ শুরু করে। ইজরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে এখনও পর্যন্ত ৩৭ হাজার জনেরও বেশি লোক নিহত। গাজায় খাদ্য, জ্বালানী এবং ওষুধের পাশাপাশি জলের ঘাটতি সহ মানবিক সংকট তৈরি করেছে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, ‘‌শিশু এবং তাদের পরিবারকে নিরাপদজনক নয়, এমন উৎসের জল ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত লবণাক্ত বা দূষিত। পরিশ্রুত জল না থাকলে আগামী দিনে আরও অনেক শিশু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে।’‌ পানীয় জলের জন্য সাধারণ মানুষ সমুদ্রের কাছাকাছি অন্ধকার এলাকায় কূপ খনন করেছে, যেখানে বোমা হামলার আশঙ্কা কম। গাজার একমাত্র পান যোগ্য জলাশয় এখন সমুদ্রের জল এবং নর্দমা দ্বারা দূষিত।