Advertisement
  • দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বাড়ল, রাজ্যের ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঝরাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বাড়ল, রাজ্যের ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঝরাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল

রাজ্যের ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন আচার্য সি ভি বোস। এর ফলে রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত আরও বেড়ে গেল। রবিবার গভীর রাতে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। ঠিক যেমন মাঝরাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি করা হয় অনেকটা সেই কায়দায়, অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আমরা জানি, কয়েকদিন আগেই উপাচার্যবিহীন ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। এবার সেই ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন বোস। সঙ্গে কল্যাণী বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেলগাছিয়ার পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়েরও অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস।

গত ৩১ অগস্ট রাজভবন সূত্রে জাননান হয়েছিল, যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এখনও উপাচার্য নেই, সেখানে রাজ্যপালই উপাচার্যের ভূমিকা পালন করবেন। এর আগে উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ডিগ্রি, শংসাপত্র এবং অন্যান্য নথি পেতে অসুবিধা হচ্ছিল। এই আবহে বৃহস্পতিবার রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছিল, রাজ্যের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আচার্য নিজেই দায়িত্ব পালন করবেন।

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে চরম সংঘাত চলছে রাজ্যপালের। এরই মাঝে আবার গত শনিবার রাজভবনের তরফে একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছিল, আচার্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হবেন উপাচার্য স্বশং। এই পরিস্থিতিতে উপাচার্য সরকারের নিয়ম মানতে বাধ্য নন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদেরও উপাচার্যের নির্দেশ মেনে কাজ করতে বলা হয়েছে রাজভবনের বিজ্ঞপ্তিতে। রাজ্যপালের দাবি, পড়ুয়াদের সমস্যা দূর করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা না করলে কাজ করা যাচ্ছিল না।

রাজভবনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের কাঁধেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো দায়িত্ব রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর নির্দেশেই কাজ করবেন সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও অন্যান্য কর্তারা। তাঁরা সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য নয়। উপাচার্য সরকারি নির্দেশে মান্যতা দিলে তবেই তা কার্যকর করা হবে। তবে আচার্যকে সহযোগিতা করবেন উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রাররা।

উল্লেখ্য, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। সরকারের বক্তব্য, উপাচার্য নিয়োগ করতে গেলে আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। কিন্তু রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই উপাচার্য নিয়োগ করছেন আশার্ঢ় তথা রাজ্যপাল। এই ভাবে উপাচার্য  নিয়োগ বৈধ নয় বলেই দাবি রাজ্য সরকারের। যদিও রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত বাড়িয়ে নিজের মতো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন। এই সংঘাত এবার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছল।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!