Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুলাই ৩, ২০২৪

হাথরসে মৃত বেড়ে ১২১,পুলিশ থেকে ধর্মগুরু, উত্থান রকেটের গতিতে, কে এই ভোলে বাবা?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
হাথরসে মৃত বেড়ে ১২১,পুলিশ থেকে ধর্মগুরু, উত্থান রকেটের গতিতে, কে এই ভোলে বাবা?

হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মৃত বেড়ে ১২১ হয়েছে। বুধবার সকালে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে। তবে তাতে স্বঘোষিত ধর্মগুরু ‘ভোলে বাবা’র নাম নেই। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে ওই এফ আর আর দায়ের করা হয়েছে। হাথরসের ঘটনা নিয়ে সিবি আই তদন্তের দাবি করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনার জন্য আগ্রার ডিজিপির নেতৃত্বে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার সকালে সে ধর্মগুরুর আশ্রমে উত্তর প্রদেশ পুলিসের একটি দল পৌঁছে যায়। অবশ্য ওই ধর্মগুরুর কোনও দেখা মেলেনি। সকাল ১১ টা নাগাদ ঘটনাস্থলে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার কথা রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে ।
মঙ্গলবার নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবা নামে ওই ধর্মগুরুর একটি সৎসঙ্গ সভা ছিল। সভার শেষে হুড়োহুড়ি , ধাক্কাধাক্কিতে পদপিষ্ট হন বহু মানুষ। এখনও পর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সংখ্যা আরও বাড়তে পারার আশঙ্কা রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বহু মানুষ। নিহত ও আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা । উত্তর প্রদেশের গরমে প্যান্ডেলে কোনও পাখার ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে গরমে রিীতিমতো নাজেহাল পরিস্থিতির স্ৃষ্টি হয়। ফলে সভার শেষে সবাই বাইরে বেরনোর জন্য তাড়াহুড়ো করতে শুরু করেন। বেরনোর পথটি অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ হওয়ার জন্য বিশৃঙ্খলা স্ৃষ্টি হয়, বহু মানুষ মাটিতে পড়ে যান। বাকিরা তাঁদের মাড়িয়ে বাইরে বেরনোর চেষ্টা করলে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
কে এই ভোলে বাবা? যার গাফিলতিতে এতগুলি নিরীহ মানুষের মৃত্যু ঘটল?
আসল নাম সুরাজ পাল সিং। উত্তর প্রদেশ পুলিসের প্রাক্তন কনস্টেবল। ৫৮ বছরের এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু হাথরস থেকে ৬৫ কিমি দূরে অবস্থিত কাসগঞ্জ জেলার বাহাদুর নগর গ্রামের বাসিন্দা। আদতে দলিত পরিবারের সন্তান সুরাজ প্রায় এক দশক পুলিশে চাকরি করার পর, আচমকাই একদিন অবসর নেন। । বাহাদুর নগর গ্রামের প্রধান নাজিশ খানামের স্বামী জাফর আলি জানাচ্ছেন, সুরাজ ব্যক্তিগত জীবনে নিঃসন্তান। পুলিসের চাকরি ছাড়ার পর নাম নেন ‘ভোলে বাবা’। শুধু তাই নয়, তাঁর স্ত্রী ওই অঞ্চলে ‘মাতাশ্রী’ নামে পরিচিতা। তিন ভাইয়য়ের সংসারে দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন সুরাজ। তাঁর বড় ভাই কিছু বছর আগে মারা গেছেন। ছোট ভাই চাষাবাদ করেন এবং এখনও ওই গ্রামেই বসবাস করেন। গ্রামেই ত্রিশ বিঘা জমিতে একটি আশ্রম গড়ে তুলেছেন। বছরভর বহু ভক্ত সেখানে আসেন। চাঁদা দেন। ফলে কুড়িয়ে বাড়িয়ে মন্দ আয় হয়না ভোলে বাবা সুরাজের।
জানা গেছে সিং বর্তমানে রাজস্থানের বাসিন্দা। পাঁচ বছর আগে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে এমন অভিযোগে গ্রাম ছাড়েন তিনি। গত বছর গ্রামে ফিরে একটি ট্রাস্টের কাছে তাঁর সম্পত্তি অর্পণ করেন তিনি। বর্তমানে একজন ম্যানেজার ওই সম্পত্তির দেখভাল করেন বলে জানা গেছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!