Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • মার্চ ১৫, ২০২৩

পেঁয়াজের দামে ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবি আদায়ে মুম্বইমুখী কৃষক মিছিল

আইনি প্রক্রিয়ার তাঁদের দাবি মেটানোর আশ্বাস শিন্ডে প্রশাসনের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পেঁয়াজের দামে ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবি আদায়ে মুম্বইমুখী কৃষক মিছিল

চিত্র: সংবাদ সংস্থা

পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে নাসিক থেকে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে ২০০ কিলোমিটার পদযাত্রায় সামিল মহারাষ্ট্রের কৃষকরা। সিপিআই এম আয়োজিত মিছিলে কৃষিজীবী মানুষ ছাড়াও সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের একাধিক শ্রমিক ও আশাকর্মী যোগ দান করেছেন। উপস্থিত রয়েছেন জনজাতি সমাজের বহু প্রতিনিধি।

পেঁয়াজের অতিরিক্ত ফলন হওয়ার কারণে লোকসানের মুখোমুখি হয়েছেন চাষিরা। যোগান বেশি থাকায় দ্রুত হারে কমে গেছে পেঁয়াজের দাম। তাই বাজারে বিক্রি করে উৎপন্ন সবজির ন্যায্য দাম তারা পাচ্ছেন না। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে,কৃষকরা প্রতি কেজি মাত্র দু-তিন টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক কৃষক ক্ষেতেই তাদের ফসল নষ্ট করে দিচ্ছেন। পেঁয়াজ বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না।দ্রুত তা রপ্তানির ব্যবস্থা করতে হয়। কিন্তু সরকারি ব্যবস্থাপনায় গাফিলতির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। এ নিয়েও ক্ষোভ জানাচ্ছেন পেঁয়াজ চাষিরা।

রাজ্যের কৃষি দফতরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা জানাচ্ছেন , মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজ নিয়ে কৃষকদের এমন বিপর্যয়ে পড়ার কারণ হল জনবহুল উত্তরের রাজ্যগুলোর চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। উত্তর প্রদেশ, বিহার, রাজস্থানের মতো রাজ্যে এবার পেঁয়াজ চাষ করেছেন কৃষকরা।

সমস্যার সমাধানে সরকার কিছু আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যেমন-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে কৃষকদের কুইন্টাল প্রতি ৩০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কৃষকদের দাবি ক্ষতিপূরণের পরিমাণ করতে হবে অন্ততপক্ষে ৬০০। এছাড়া আন্দোলনকারী কৃষকরা বলেছেন–১২ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা, সয়াবীন, তুলো, অড়হর ডাল প্রভৃতি পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও অকাল বর্ষণ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ত্রাণ সরবরাহের ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে।  ন্যায্য দাবি পূরণ না হলে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।  মিছিলে যোগদানকারী শ্রমিক ও আশা কর্মীদের পক্ষ থেকেও পুরনো পেনশন পরিকল্পনা প্রচলনের দাবি জানানো হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের দাবি দাওয়া মেটানোর চেষ্টা চলছে। ক্যাবিনেট মন্ত্রী দাদা ভুসে ও অতুল সাভে মুম্বাইয়ে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করবার চেষ্টা করছেন। গতকাল এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাঁদের সাক্ষাৎ হয়নি। দাদা ভুসে বলেছেন কৃষকদের ১৪ দফা দাবি দাওয়া সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল। আইনের পরিধির মধ্যে থেকে যত দূর পারা যায় তাঁদের অভাব-অভিযোগ মেটানোর চেষ্টা করা হবে। 

কৃষকদের এখন দাবি, সরকারি প্রতিনিধিদের নিজে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বস্তুত, কয়েকদিন আগে সিপিএমের বিনোদ নিকোলে ও বিরোধী নেতা অজিত পাওয়ার বিধানসভায় বলেছিলেন, সরকারকে কৃষকদের কথা  মন দিয়ে শুনতে হবে। তাঁদের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। কিন্তু শিন্ডে প্রশাসন বিরোধীদের কথায় কর্ণপাত করেনি। এখন কৃষকরা রাস্তায় নেমে পড়ায় মুখ রক্ষার চেষ্টা করছে মহারাষ্ট্র সরকার। ২০১৮ ও ২০২১ সালেও এমন কৃষি বিক্ষোভ দেখেছিল রাজ্য। পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষকদের  ন্যায্য দাবিদাওয়া মেটাতে তৎপরতা দেখিয়েছিলেন সে সময়ের মুখ্যমন্ত্রীরা। নতুন সরকার  কৃষি সমস্যা  সমাধানে কতটা উদ্যোগী হবে তা অনিশ্চিত।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!