শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে তীরে এসে তরী ডুবেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। ২৪ বছর পর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারল না। দুর্দান্ত লড়াই করেও শেষরক্ষা হল না। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া।
বৃষ্টির ভ্রুকুটি নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। লিগ পর্বের ম্যাচে পরে ব্যাট করে ভারতের বিরুদ্ধে মাত্র ৮৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটাও মাথায় রেখেছিলেন। তাই এদিন আর কোন ঝুঁকি নিতে চাননি। কিন্তু তাঁর সেই সিদ্ধান্তই শুরুতে বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছিল। অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলারদের সামনে শুরুতেই বেসামাল হয়ে পড়েছিল প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইন। ১২ বারো ওভারের মধ্যেই মাত্র ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয় পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ওভারে বাভুমাকে (০) তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ধাক্কা দেন মিচেল স্টার্ক। ষষ্ঠ ওভারে ফর্মে থাকা কুইন্টন ডিকককে (৩) ফেরান জশ হ্যাজেলউড। একাদশ ওভারে এইডেন মার্করামকে (১০) তুলে নেন তুলে নেন স্টার্ক। রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে (৬) ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আরও চাপে ফেলে দেন হ্যাজেলউড। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন হেনরিক ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। এই দুই ব্যাটারই চাপের মুখ থেকে উদ্ধার করেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
৩১ তম ওভারে জোড়া ধাক্কায় আবার চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পরপর দু’বলে ক্লাসেন (৪৭) ও মার্কো জানসেনকে (০) ফেরান ট্রাভিস হেড। এক প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও অন্যপ্রান্ত ধরে রাখেন ডেভিড মিলার। দূরন্ত সেঞ্চুরি করে দলকে লড়াই করার মত জায়গায় পৌঁছে দেন। শেষ পর্যন্ত ১১৬ বলে ১০১ রান করে আউট হন তিনি। মারেন ৮টি চার ও ৫টি ছয়। জেরাল্ড কোয়েটজে করেন ১৯। ৪৯.৪ ওভারে ২১২ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৪ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন মিচেল স্টার্ক। ৫১ রানে ৩ উইকেট প্যাট কামিন্স। ২টি করে উইকেট নেন হ্যাজেলউড ও ট্রাভিস হেড।
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড যেভাবে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করছিলেন, মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার জয় সময়ের অপেক্ষা। ওপেনিং জুটিতে ৬ ওভারে তুলে ফেলে ৬০। জোরে বোলাররা ব্যর্থ হওয়ায় সপ্তম ওভারে স্পিন আক্রমণ নিয়ে আসেন তেম্বা বাভুমা। নিজের প্রথম বলেই ওয়ার্নারকে (১৮ বলে ২৯) তুলে নেন মার্করাম। এক ওভার পরেই মিচেল মার্শকে (০) ফেরান কাগিসো রাবাদা। চাপ সামলে দলকে টানছিলেন হেড ও স্মিথ। হেডকে (৪৮ বলে ৬২) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন কেশব মহারাজ। তাবরেজ সামসির বলে এলবিডব্লিউ হন লাবুশেন (২২)। ম্যাক্সওয়েলকেও (১) তুলে নেন সামসি।
১৩৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। জস ইংলিশকে নিয়ে লড়াই করছিলেন স্টিভ স্মিথ। স্মিথকে (৬২ বলে ৩০) তুলে নিয়ে লড়াই জমিয়ে দেন কোয়েটজে। এরপর ধীরে ধীরে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ইংলিশ। তাঁকেও ফেরান কোয়েটজে। ৪৯ বলে ২৮ রান করে আউট হন ইংলিশ। এরপর চাপ সামলে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন মিচেল স্টার্ক ( অপরাজিত ১৬) ও প্যাট কামিন্স (অপরাজিত ১৪)। ৪৭.২ ওভারে ২১৫/৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন কোয়েটজে ও সামসি।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34