Advertisement
  • এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • নভেম্বর ৪, ২০২৩

বিধ্বংসী ফখর জামান, ডাকওয়ার্থ–লুইস নিয়মে ২১ রানে জিতে শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বিধ্বংসী ফখর জামান, ডাকওয়ার্থ–লুইস নিয়মে ২১ রানে জিতে শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান

শনিবার নিউজিল্যান্ড–পাকিস্তান ম্যাচ দুই দলের কাছেই ছিল সেমিফাইনালে যাওয়ার লাইফলাইন। শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রাখতে গেলে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না পাকিস্তানের কাছে। হারলে নিউজিল্যান্ডের কাছেও সেমিফাইনালে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ত। এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ডাকওয়ার্থ ও লুইস নিয়মে ২১ রানে হারিয়ে শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান।
বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তাঁর লক্ষ্য ছিল উইকেটের স্যাঁতসেঁতে ভাব কাজে লাগানো। কিন্তু বাবরের সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে যায়। শুরুতে ধাক্কা দেওয়ার পরিকল্পনা কাজে লাগেনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত বোলিং করা শাহিন আফ্রিদি এদিন চূড়ান্ত ব্যর্থ। হাসান আলি, হ্যারিস রউফদেরও সেই একই অবস্থা। সবথেকে করুণ হাল শাহিন আফ্রিদির। ১০ ওভারে ৯০ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। হাসান আলি অবশ্য ৮২ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন।
পাকিস্তানকে প্রথম ব্রেক থ্রু আসে হাসান আলির হাত ধরে। একাদশ ওভারের পঞ্চম বলে তিনি তুলে নেন ডেভন কনওয়েকে (‌৩৫)‌। এরপর পাকিস্তান বোলারদের ক্লাব পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে আসেন রাচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন। দুরন্ত ব্যাটিং করে চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন রাচিন। চোট সারিয়ে মাঠে ফিরে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন কিউয়ি অধিনায়ক উইলিয়ামসন। এদিন নিশ্চিত সেঞ্চুরির মুখ থেকে ফিরে আসেন। ৭৯ বলে ৯৫ রান করে তিনি ইফতিখার আমেদের বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। উইলিয়ামসন ও রাচিনের জুটিতে ওঠে ১৮০ রান। উইলিয়ামসন আউট হওয়ার পরপরই ফিরে যান রাচিন। ৯৪ বলে তিনি করেন ১০৮।
উইলিয়ামসন ও রাচিন ফিরে গেলেও নিউজিল্যান্ডের রানের গতি কমেনি। ড্যারিল মিচেল (‌১৮ বলে ২৯)‌, মার্ক চ্যাপম্যান (‌২৭ বলে ৩৯)‌, গ্লেন ফিলিপস (‌২৫ বলে ৪১)‌, মিচেল স্যান্টনাররা (‌১৭ বলে অপরাজিত ২৬)‌ নিউজিল্যান্ডকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪০১/‌৬ রানে পৌঁছে দেয়। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে কিছুটা ভাল বোলিং করেন মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। ৬০ রান ৩ উইকেট নেন তিনি। ১টি করে উইকেট নেন হাসান আলি, ইফতিখার আমেদ ও হ্যারিস রউফ।
জয়ের জন্য ৪০২ রানের লক্ষ্য যথেষ্ট কঠিনই ছিল পাকিস্তানের কাছে। চলতি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে রেকর্ড রান তাড়া করে জেতার কৃতিত্ব রয়েছে পাকিস্তানের। সেকথা মাথায় রেখেই স্বপ্ন দেখছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটপ্রেমীরা। দ্বিতীয় ওভারেই আব্দুল্লাহ শফিক (‌৬)‌ ফিরে যান। তখন মনে হয়েছিল, পাকিস্তান হয়তো লড়াই থেকে ছিটকে গেল। কিন্তু দুর্দান্ত ব্যটিং করে দলকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন ফখর জামান ও বাবর আজম। ৬৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ফখর জামান। পাকিস্তানীদের মধ্যে বিশ্বকাপে দ্রুততম। একদিকে তিনি ঝড় তুললেও অন্যপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন অধিনায়ক বাবর আজম। ২১.‌৩ ওভার খেলা হওয়ার পর বৃষ্টি নামে। তখন পাকিস্তানের রান ছিল ১৬০/‌১। ডাকওয়ার্থ ও লুইস নিয়মে পার স্কোরে ১০ রানে সেই সময় এগিয়েছিল পাকিস্তান।
বৃষ্টি থামার পর আবার খেলা শুরু হয়। পাকিস্তানের জয়ের জন্য ডাকওয়ার্থ–লুইস নিয়মে জয়ের লক্ষ্য ৪১ ওভারে ৩৪২। ‌খেলা শুরু হতেই আবার বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন ফখর জামান। ২৫.‌৩ ওভারের মাথায় আবার বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পাকিস্তানের রান তখন ১ উইকেটে ২০০। ডাকওয়ার্থ–লুইস নিয়মে পার স্কোরে তখন ২১ রানে এগিয়ে পাকিস্তান। বৃষ্টি না থামায় আর খেলা শুরু করা যায়নি। ফখর জামান  ৮১ বলে অপরাজিত ১২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। মারেন ১১টি ছক্কা ও ৮টি বাউন্ডারি। বাবর আজম ৬৩ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!