- দে । শ
- নভেম্বর ১৮, ২০২৩
খুনের অভিযোগে ইয়েমেনে ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা। “ব্লাড মানি”-ই একমাত্র মুক্তির পথ। মেয়েকে বাঁচাতে দিশেহারা মা
এক ব্যক্তিকে অচেতন করে নিজের পাসপোর্ট নিজের হাতে নেওয়ার চেষ্টার ফলে ওই ব্যক্তি মারা যান। এই ঘটনায় ইয়েমেনে কেরলের এক নার্সকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। ওই নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই ব্যক্তিকে খুন করেছেন, সেই খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে ওই নার্সকে। এখন ওই নার্সের বাঁচার একটাই উপায়, “ব্লাড মানি” অর্থাৎ ইয়েমেনের আইন অনুযায়ী, আক্রান্তের পরিবারকে অর্থ দিয়ে নিজেকে মুক্ত করা। কিন্তু তা এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। কেননা ২০১৬ সাল থেকে ভারতীয়দের ইয়েমেনে যাওয়া নিষিদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত নার্সের আইনজীবী দিল্লি আদালতে আবেদন জানালেন তরুণীর মাকে ইয়েমেনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য।
ইয়েমেনে ২০১৭ সালে অভ্যন্তরীণ সংঘাত শুরু হয়। সেই সময় নিমিশার স্বামী ও তাঁর সন্তানরা ভারতে ফিরে গেলেও নিমিশার সেই সময় ভারতে ফেরা হয়নি। তাঁর স্পনসরের কাছে ছিল তাঁর পাসপোর্ট। তিনি কিছুতেই তা ফেরত দেননি। আটকে রেখেছিলেন নিশিমার পাসপোর্ট। শেষপর্যন্ত নিজের পাসপোর্ট নিজের দখলে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওই ব্যক্তিকে অচেতন করার জন্য ইনজেকশন দেন নিমিশা। আর তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ওই তরুণী নার্সের নাম নিমিশা প্রিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ইয়েমেনের এক নাগরিককে তিনি খুন করেছেন। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত তরুণীর প্রাণভিক্ষার আর্জি প্রত্যাখ্যান করেছে ইয়েমেনের শীর্ষ আদালত। এই পরিস্থিতিতে তাঁর আইনজীবী সুভাষ চন্দ্রণ জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে “ব্লাড মানি”-ই এখন ওই নার্সের বাঁচার একমাত্র উপায়। তবে আক্রান্তের পরিবারের সঙ্গে সরাসরি এই টাকা দেওয়া নিয়ে দরাদরি করা সম্ভব হবে না, যদি না নিমিশার মা ইয়েমেনে পৌঁছতে পারেন। তবে সেই বিষয়টা ততোটা সহজ নয়। সুভাষের কথায়, “২০১৬ সাল থেকে ভারত সরকারের অনুমতি না নিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের উপর ইয়েমেনে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।” শেষপর্যন্ত কেন্দ্র ওই মহিলাকে ইয়েমেনে যাওয়ার অনুমতি দেয় কিনা সেদিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
❤ Support Us