- দে । শ
- নভেম্বর ৫, ২০২৪
সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নয়ণে উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমানে
পূর্ব বর্ধমান জেলাজুড়ে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার মান ও পরিকাঠামোকে ‘রোগমুক্ত’ করার উদ্যোগ শুরু হল। আইপিএইচসি বা ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ স্ট্যান্ডার্ড প্রকল্পে সমীক্ষার মাধ্যমে রোগের জায়গা ও উপসর্গগুলিকে চিহ্নিতকরণ ও উন্নতির পরিসর উল্লেখ করে রিপোর্ট তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে পাঠানো হবে। সমীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাস্টার ট্রেনার তৈরি হচ্ছে বলে জানালেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম। তিনি বলেন, ‘ত্রুটি ও ঘাটতি চিহ্নিত করে তা পূরণের ব্যবস্থা হবে।’ সমীক্ষায় জেলার উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির ভবন বা পরিষেবার হাল, সম্প্রসারণের দরকার কিনা, শয্যা বাড়ানো বা জেলায় বাড়তি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করার প্রয়োজন আছে কিনা, সেসব দেখা হবে। জেলায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ছাড়াও কাটোয়া ও কালনায় মহকুমা হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়াও জেলায় ৩টি গ্রামীণ হাসপাতাল ৮২১টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৮৩টি পাবলিক হেলথ সেন্টার, ২৫টি কমিউনিটি হেলথ সেন্টার রয়েছে। এই জেলার বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পরিষেবা নিতে ছুটে আসেন লাগোয়া বীরভূম, বাঁকুড়া, নদিয়া, হুগলী, মুর্শিদাবাদ জেলা ছাড়াও ঝাড়খণ্ড ও বিহারের বাসিন্দারা।
এদিকে তৃণমূলের বিভিন্ন সভায় ‘জাস্টিস চাওয়া’ বহু সিনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন দলের নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা। অভিযোগ, মুখে জাস্টিসের কথা বলে জুনিয়ার ডাক্তারদের লেলিয়ে বহু বরিষ্ঠ ডাক্তার মোটা টাকা ফি নিয়ে দিব্যি ‘চেম্বার’ করছেন, নার্সিংহোম চালাচ্ছেন। কমিশন নিয়ে নিজের পছন্দের ওষুধ লিখছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জির কথায়, ‘ডাক্তাররা হাসপাতালে নিজেদের নিজেদের ডিউটি ঠিকঠাক করেন না বলে ভুরিভুরি অভিযোগ। জনগণইতো তাঁদের কাছে জাস্টিস চাইছে।’ আরও বলেন, ‘ডাক্তাররাতো আন্দোলনের নামে ছায়ার সঙ্গে কুস্তি করছেন।’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘আরজিকর কাণ্ডের বিচার চেয়ে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিই প্রথম সোচ্চার হন। কঠোর আইন প্রণয়নে তৎপর হন। আন্দোলনরত ডাক্তারদের সিংহভাগ দাবিও মেনে নিয়েছেন। তবু আন্দোলন চলছে।’ রাজ্য তৃণমূল আদিবাসী সেলের চেয়ারম্যান দেবু টুডুর তোপ, ‘সিনিয়ার চিকিৎসকরা নিজেদের চেম্বার বন্ধ রেখে, নার্সিংহোমে ডিউটি না করে আন্দোলন করুন। তাহলে বুঝব যে জুনিয়ার ডাক্তারদের দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁরা আন্তরিক।’ জেলা তৃণমূল নেতা দিগন্ত পালের মন্তব্য, ‘হাসপাতালে বা রাস্তায় ডাক্তারদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সিপিএম বা বিজেপির নেতারা গিয়ে ভিড় বাড়াচ্ছেন। এর থেকেইতো রাজনৈতিক মদতের বিষয়টি স্পষ্ট।’ কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ আবার কলকাতায় সরকারি কর্মসূচি ও জাস্টিসের দাবিতে কর্মসূচি নিয়ে ‘বিচারব্যবস্থার পর্যবেক্ষণ’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ডাক্তারদের আন্দোলনের পিছনে বেশকিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের মালিকদের ‘কলকাঠি নাড়ারও’ অভিযোগ তুলছেন তৃণমূলের নেতারা।
❤ Support Us