Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • নভেম্বর ১১, ২০২৩

গাজায় দৈনিক ৪ ঘণ্টা অভিযান বন্ধ রাখছে ইজরায়েলি সেনা, তবে এর অর্থ যুদ্ধবিরতি নয়, জানালেন নেতানিয়াহু

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
গাজায় দৈনিক ৪ ঘণ্টা অভিযান বন্ধ রাখছে ইজরায়েলি সেনা, তবে এর অর্থ যুদ্ধবিরতি নয়, জানালেন নেতানিয়াহু

চিত্র সৌজন্য রয়টার্স

এক মাসের বেশি সময় ধরে চলছে হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষ । যুদ্ধ চলার ৩৫দিনে একাধিকবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করেছে ইসরায়েল  সরকার। এবার কিছুটা সুর নরম করল ইজরায়েল। উত্তর গাজায় প্রতিদিন চার ঘণ্টার জন্য অভিযান বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ। ওই সময়ের মধ্যে গাজাবাসীরা মানবাধিকার করিডর দিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেমন পালিয়ে যেতে পারবেন, তেমনই বন্দিদের মুক্তির জন্যও ওই সময়টুকু ব্যবহার করা যাবে। ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত গাজাবাসীদের স্বার্থে বলেই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন জানিয়েছে, পাশাপাশি তারা এটাও জানিয়েছে এটা কোনও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নয়, যুদ্ধ চলবে।

ইজরায়েলের এই মানবিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি। এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইজরায়েল সেনার এই সিদ্ধান্ত প্রথম হলেও তাৎপর্যপূর্ণ।’’ তবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, চার ঘণ্টার এই সময়সীমাকে যুদ্ধবিরতি ভাবলে ভুল হবে। হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের লড়াইয়ে কোনও ছেদ পড়বে না। চার ঘণ্টার ওই সময়টুকু শুধুই গাজার নিরীহ, অসামরিক সাধারণ মানুষের জন্য ছাড়। তা-ও আবার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় এবং নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ‘‘হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই যেমন চলছে ঠিক তেমনই চলবে। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্র থেকে যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে, গাজার বাসিন্দারা চলে যেতে পারেন, তাই শুধুমাত্র তাঁদের কথা ভেবে কিছুটা সময় দেওয়া হয়েছে।’’ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইজরায়েল কোনওভাবেই গাজা দখল বা নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানাবে না। এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কোনও মতবিরোধ হয়নি বলেও তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েল সিরিয়াতেও আকাশপথে হামলা করেছে। ইজরায়েলি সেনার দাবি, দক্ষিণ ইজরায়েলের শহর, এলাতের একটি স্কুলে সিরিয়ার সেনার তরফে ড্রোন হামলা করা হয়েছিল। ওই স্কুলে ৪০ জন ছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে  প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। অন্যদিকে ইজরায়েলি আক্রমণে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে আমেরিকার ম্যানহ্যাটনে নিউ ইয়র্ক টাইমসের অফিসে ঢুকে ধুন্ধুমার বাঁধান একদল মানবাধিকার কর্মী। তাঁদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইজরায়েলি হানায় মৃতদের মধ্যে ছিলেন ৩৬ জন সাংবাদিক রয়েছেন। নিজেদের ‘রাইটার্স ব্লক’-এর সদস্য বলে দাবি করে তাঁরা স্লোগান দেন, ‘‘আমরাই আমাদের সহকর্মীদের মেরে ফেলেছি।’’ তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের তরফে জানান হয় এই বিক্ষোভের ফলে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!