- এই মুহূর্তে দে । শ
- এপ্রিল ৭, ২০২৩
লেবানন, হামাসের ঘাঁটিতে ইজরায়েলি বিমান হানা, জেরুসালেমে বাড়ছে উত্তেজনা
জেরুসালেমের আল আকসা মসজিদের প্রার্থনা সভায় পুলিশি হানার পর থেকেই ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। একদিকে খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীদের গুড ফ্রাইডে অন্যদিকে রোজার তৃতীয় শুক্রবারের নামাজ পড়াকে ঘিরেও নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সেখানে। ইজরায়েলি পুলিশ ধর্মীয় জমায়েতকে নিষিদ্ধ করেছে সেখানে। শুরু হয়েছে সামরিক তৎপরতা। তবে তা যুদ্ধের চেহারা নিবে কিনা সেব্যাপারে জল্পনা চলছে।ইজরায়েল সেনা রাতভর লেবানন ও গাজা স্ট্রিপে বিমান হানা চালিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর মেলেনি।
গতকালই প্যালেস্তিনীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামাস লেবানন থেকে ইজরায়েলের অভিমুখে ৩৪টি রকেট ছুঁড়েছে বলে ইজরায়েলের অভিযোগ। তারই পাল্টা জবাব দিতেগাজা ও লেবাননে পাল্টা বিমান হানা চালানো হচ্ছে বলে ইজরায়েলের সেনার দাবি। এদিকে হামাসের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইজরায়েলের আগ্রাসনের কাছে কোনওভাবেই মাথা নত করবে না প্যালেস্তাইন। পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত তারাও।
ইজরায়েলের সেনার তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের লেবাননের শিবির লক্ষ্য করে বিমান হানা চালানো হয়েছে। কারণ লেবাননের মাটিতে হামাসের জঙ্গি কার্যকলাপ প্রতিহত করতে ইজরায়েল বদ্ধপরিকর। গাজা স্ট্রিপে হামাসের কার্যকলাপ প্রতিহত করতেও ইজরায়েলের একই অবস্থান।
হামাসের তরফে ইজরায়েলের পাল্টা সমালোচনা করা হয়েছে। এর জেরে পরিস্থিতি আসন্ন ঈদের আগে স্বাভাবিক হবে কিনা সেও এখনই বলা যাচ্ছে না। ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র দাবি করেছেন, ইজরায়েলের অভিমুখে্ যে রকেট হানা চলেছে, তাতে হাত হয়েছে লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লার। এছাড়া ইরানও নেপথ্য থেকে কলকাঠি নাড়ছে। যদিও ওই রকেট হানার দায় স্বীকার করেনি হামাস কিংবা হিজবুল্লা। তবে হিজবুল্লা সাফ জানিয়েছে, আল আকসা মসজিদে মুসলিমদের প্রার্থনা করার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাতভর বিমান হানার ঘটনার সমালোচনা করে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, ইজরায়েল অশান্তি পাকিয়ে আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা নষ্ট করতে চাইছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, ইজরায়েলের বিমান হানায় গাজা স্ট্রিপের লোকালয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কিছু বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। লেবানন ও গাজায় নিরীহ নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যুদ্ধ বাঁধবে কিনা সেই ভয়ও বাড়ছে। এব্যাপারে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশনের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধ এড়ানোর ব্যাপারে লেবানন ও ইজরায়েলকে সহমত হতে হবে।
❤ Support Us