- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
কালনায় শিক্ষা প্রসার, অসুস্থর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিদ্যাসাগর, সেই স্মৃতি বাঁচিয়ে রেখেছে কালনা

নারীশিক্ষা ও সমাজচেতনা প্রসারের লক্ষ্যে ১৮৫৫ সালের ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কালনার বৈদ্যপুর, সিংয়েরকোণ, হাঁসপুকুর, বাদলা প্রভৃতি এলাকায় চরকি পাক দিয়েছিলেন বিদ্যাসাগর। সেই সোনালি স্মৃতিকে ‘বাঁধিয়ে রাখতে’ ফি-বছর ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে তাঁর জীবন ও কর্মকাণ্ডের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। মূল উদ্যোক্তা সংশ্লিষ্ট কালনা ২নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায় বলেন, ‘বিদ্যাসাগরের মত মহান মানুষের চরণধুলো পড়েছিল কালনার মাটিতে। তারজন্য আমরা গর্বিত। তাই ফি-বছরই আমজনতার মাঝে তাঁর অবদান পৌঁছে দিতে নানান কর্মসূচি পালিত হয়।’
কালনা সফরে এসে বিদ্যাসাগরের এক অসহায় আতুরের পাশে দাঁড়ানোর ঘটনা এলাকার মানুষজনের মুখে মুখে ফেরে। শীতের দুপুরে কালনার বাদলা গ্রামে একটি স্কুলের পত্তন করে পায়ে হেঁটেই কালনা যাচ্ছিলেন বিদ্যাসাগর মশাই। কিছুদূর যাওয়ার পর দেখেন রাস্তার ধারে ছটফট করছেন এক কলেরা আক্রান্ত। অদূরে হাঁসপুকুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র। নিজেই উদ্যোগ নিয়ে সেই রোগীকে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন বিদ্যাসাগর। চিকিৎসার দেখভাল করেন। সেই স্মৃতিকে অক্ষত রাখতে হাসপাতালের পুরনো ভবনের সামনে বসানো হয়েছে বিদ্যাসাগরের মূর্তি। এলাকার বাসিন্দারা জানান, অসুস্থ-আতুরের প্রতি তাঁর সহানুভূতির স্মৃতিকে অটুট রাখতেই মূর্তি বসানো হয়েছে।
এদিকে বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে ফি-বছর এলাকার কোনও বিশিষ্ট শিক্ষককে সংবর্ধিত করে কাটোয়া ভাষাসদন কমিটি। কমিটির সভাপতি পরেশনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সম্পাদক শ্রীমন্ত মজুমদার জানান, কাটোয়া শহরের রবীন্দ্র ভবনে এবার অশীতিপর শিক্ষক রণেশ ব্রহ্মচারীকে সংবর্ধিত করা হল।’
❤ Support Us