- দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫
বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পে ক্ষতিপূরণ পাওয়া কেতুগ্রামের কৃষকদের কৃতজ্ঞতা মুখ্যমন্ত্রীকে

এবারের খরিফ মরমশুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাংলার শস্যবিমা প্রকল্পে ফসলের ক্ষতিপূরণ পেলেন কেতুগ্রাম ২নং ব্লকের নবগ্রাম ও নিরোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৩৭০০ কৃষক। এর মধ্যে নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ২,৬৮৭ জন কৃষক ও বাকিটা নিরোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। কেতুগ্রামের নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষতিপূরণের অর্থ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তার একটি করে প্রতিলিপি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের হাতে তুলে দেন কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ। ছিলেন সংশ্লিষ্ট কেতুগ্রাম ২ নং ব্লকের বিডিও শাশ্বতী দাস-সহ মহকুমা ও ব্লক স্তরের কৃষি আধিকারিকেরা। অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। বিধায়ক বলেন, ‘বাম জমানায় কৃষকদের ফসলের ক্ষতি হলে সরকার কিছুই দিত না। মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে থাকতে শস্যবিমা চালু করেছেন।’ যোগ করেন, ‘এ এমন বিমা, শুধু দরখাস্ত করেই দায় খালাস কৃষকদের। বিমার কিস্তি মেটায় সরকার। এমনকী কৃষকদের বিমার আওতায় আনতে দরখাস্ত জমা দেওয়ার সময়ও বাড়িয়ে দেওয়া হয়।’ শস্যবিমার টাকা পেয়ে খুশিতে গদগদ নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁকুরহাটি গ্রামের কৃষক পরিতোষ ঘোষ, বড় পুরুলিয়ার সুদীপ্ত মুখার্জিরা। তাঁরা জানান, ‘আমাদের এলাকাটি বন্যাপ্রবণ। ফি-বর্ষায় অজয়ের গ্রাসে ডুবে যায় হাজার হাজার একর জমির ধান। বহু কৃষক সর্বস্বান্ত হয়। মমতাদি পাশে দাঁড়ানোয় ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় পরের চাষটা করতে পারব।’
উল্লেখ্য যে, ডিভিসির অতিরিক্ত জল ছাড়া ও ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র প্রভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলার ৮টি ব্লকে ধান চাষে ক্ষতির জন্য ১ লক্ষ ৪ হাজার কৃষক ক্ষতিপূরণের অর্থ পাচ্ছেন। পরিমাণ ৫১ কোটি ৫৩ লক্ষ ৬১০ টাকা। এদিকে আলু চাষিদের পাশে দাঁড়াতে বিমা করার সময়সীমাও এবার বাড়ানো হয়েছে। মাঠের কাজে ব্যস্ত থাকায় অনেক কৃষক ক্যাম্পে গিয়ে বিমার আবেদন জমা দিতে পারেননি বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি দপ্তর। গত বছর বৃষ্টিতে আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ২ বার আলু লাগাতে হয়। বিমা থাকায় বড়সড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন কৃষকরা। বেশি সংখ্যক কৃষককে বিমার আওতায় আনতে জেলাজুড়ে হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। ট্যাবলোর মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। বিমা যে কৃষকদের ‘রক্ষাকবচ’, সেটা বোঝাতে সচেতনতা প্রচার করেছে কৃষি দপ্তর।
❤ Support Us