- এই মুহূর্তে বি। দে । শ
- আগস্ট ৬, ২০২৪
খালেদা জিয়াকে মুক্তির নির্দেশ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির, দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই বদলে গেল বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে হাসিনা ইস্তফা দেওয়ার কয়েকঘন্টার মধ্যেই দেশের শাসনভার তুলে নেয় বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহনের পরপরই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দলনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। ২০১৮ সালে দুর্নীতির দায়ে ১৭ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন বেগম খালেদা জিয়া। ৭৮ বছর বয়সী এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ এবং হাসপাতালে বন্দী রয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির অফিস থেকে জারি করা এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে এক বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বৈঠকে ছাত্র বিক্ষোভের সময় গ্রেফতার হওয়া সবাইকে মুক্ত করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ এই বৈঠকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামানসহ নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান এবং বিএনপি ও জামাত–ই–ইসলামী দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমি তা গ্রহণ করেছি। বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেনাপ্রধান দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। রাজনৈতিক নেতারাও তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব সাধারণ নির্বাচন করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটকসহ সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে।’
❤ Support Us