- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- অক্টোবর ১৯, ২০২২
উড়ে গেলেন থারুর, কংগ্রেসের নতুন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে

কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। সভাপতি পদে লড়াই করা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুরকে হারিয়েছেন ৬৮২৫ ভোটে। মোট ভোট পড়েছিল ৯৩৮৫টি। এর মধ্যে মল্লিকার্জুন খাড়গে পেয়েছেন ৭৮৯৭। আর শশী থারুরের ঝুলিতে জমা হয়েছে মাত্র ১০৭২ ভোট। ৪১৬টি ভোট বাতিল হয়েছে। ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম কংগ্রেসের সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসতে চলেছেন। এর আগে ওই পদে ছিলেন সীতারাম কেশরী।
ফলাফল ঘোষণার পর শচীন পাইলট, গৌরব গগৈ, তারিখ আনোয়ারের মতো নেতারা ৮০ বছরের প্রবীন নেতা খাড়গের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাঁরা খাড়গেকে অভিনন্দন জানান। টুইটারে অভিনন্দন জানিয়েছেন পরাজিত প্রার্থী শশী থারুরও। তিনি লিখেছেন, ‘কংগ্রেসের সভাপতি হওয়াটা দারুণ সম্মানের ও দায়িত্বের বিষয়। আমি খাড়গেজির সাফল্য কামনা করি।’
দেশে মোট ৩৬টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ছিল। মোথ বুথের সংখ্যা ছিল ৬৭। ২০০ জন ভোটার পিছু একটা করে বুথ নির্ধারিত করা হয়েছিল। ভোট গ্রহনের জন্য ৯৪৩ জন রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করেছিল কংগ্রেস। ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা থেকেই কর্নাটকের বল্লারির সাঙ্গানাকাল্লুর শিবির থেকে ভোট দেন রাহুল। তাঁর সঙ্গে ভোট দেন যাত্রায় অংশ নেওয়া প্রায় ৫০ জন কংগ্রেস সদস্য। গোপন ব্যালটে ভোট হয়েছিল। ভোট দেওয়ার সময় প্রত্যেককেই পরিচয় পত্র সঙ্গে রাখতে হয়েছিল।
বহু দশক ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি গান্ধী পরিবারের খুবই কাছের। কর্ণাটকের বিদার থেকে এসেছেন খাড়গে। ১৯৬৯ সালে কর্ণাটকের গুলবার্গা সিটি কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি হন। এরপর ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে বিধানসভায় যান। তারপর থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি মোট ৯ বার বিধায়ক ছিলেন। ১৯৭৬ সালে তিনি প্রথমবারের মতো কর্ণাটকের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হন। ১৯৮৮ সালে কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সহ–সভাপতি নিযুক্ত হন। ২০০৫ সালে তিনি কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি হন। এবার তিনি কংগ্রেসের সভাপতির মতো গুরু দায়িত্বে আসীন হলেন।
❤ Support Us