- দে । শ
- সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা দিলেই হাসপাতাল— নার্সিংহোমের নতুন ভবন সম্প্রসারণে সুবিধা, ঘোষণা কলকাতা পুরসভার
কলকাতার বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তি নিচ্ছে না। এই ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় এফআইআর করার কথা বলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এবার বাংলার মানুষজনকে চিকিৎসা পরিষেবা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে যাতে দেওয়া যায় তার জন্য এগিয়ে এল কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার এই উদ্যোগের ফলে কার্ডে রোগী ভর্তি করলে আধুনিক যাবতীয় চিকিৎসা দিতে হবে। যে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা দেবে, কলকাতার সেই সব বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম তাদের বেডসংখ্যা বাড়াতে পারবে। পুরনো হাসপাতালের ওয়ার্ডও সম্প্রসারণে করার অনুমতি মিলবে কলকাতা পুরসভা থেকে, এমনই জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগীর চিকিৎসা দেওয়া যেখানে বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক, এই কার্ডের মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা না দিলে মুখ্যমন্ত্রী যেখানে থানায় এফআইআর করতে বলছেন সেখানে কলকাতার মেয়র এই ছাড় দিচ্ছেন কেন?
রাজ্য সরকারি নিয়মানুযায়ী স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাংলার মানুষজনকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার বিষয় রাজ্য সরকারের সরাসরি নির্দেশিকা রয়েছে। কিন্তু একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ‘বেড ফাঁকা নেই’ বলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে আসা রোগীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে বার বার অভিযোগ আসছে সরকারের কাছে। আর তখনই বিল্ডিং নির্মাণে ‘অতিরিক্ত ফ্লোর এরিয়া’ চেয়ে আবেদন করা বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তি নিয়ে নয়া শর্তে বাঁধলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মেয়র বলেন, ‘”যে হাসপাতাল ফ্লোর বাড়তি নেবে সেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তির ওয়ার্ড করতেই হবে। বাংলার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগকে আরও বেশি করে কার্যকর করতে এটা কলকাতা পুরসভার নীতিগত সিদ্ধান্ত।”
বেসরকারি হাসপাতালে বৃদ্ধি হওয়া বেডে শুধু কলকাতার বাসিন্দারাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। ভর্তির সময় আধার কার্ডের মাধ্যমে ঠিকানা যাচাই করে নেবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্স কলকাতা পুরসভার কাছ থেকে মল্লিকবাজারে শর্তে জমি নিয়ে হাসপাতাল তৈরির পর পুরকর্মীদের সুবিধা দিচ্ছে। সম্প্রতি ওই বাড়িতেই একটি বাড়তি ফ্লোরের জন্য আবেদন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তখনই মেয়র শর্ত দেন, অতিরিক্ত ফ্লোরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগীর ওয়ার্ড করলে তবেই বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করবেন। তাতে রাজি হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও কলকাতার আরও কয়েকটি নামী বেসরকারি হাসপাতালও বাড়তি ফ্লোর তৈরির অনুমতি পেয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের শর্তে।
❤ Support Us