- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- জুলাই ৬, ২০২৪
রেনবোর বিরুদ্ধে ২ গোলে এগিয়ে গিয়েও আবার আটকে গেল মোহনবাগান

কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচে ভবানীপুরের কাছে আটকে যেতে হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসকে। দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় এল না সবুজমেরুনের। রেনবোর কাছে আটকে যেতে হল। ২ গোলে এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ ২–২ গোলে শেষ হল। জোড়া গোল করেও মোহনবাগানকে জয়ে এনে দিতে পারলেন না সুহেল ভাট। প্রাক্তনী শিলটন পালের হাতেই আটকে যেতে হল মোহনবাগানকে। প্রথমার্ধে দুটি গোল হজম করলে দ্বিতীয়ার্ধে তিন কাঠির নীচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের। ম্যাচের ১৪ মিনিটে সুহেল ভাটের গোলে এগিয়ে যায় সবুজমেরুন। ডানদিক থেকে বাঁ পায়ে সেন্টার করেছিলেন টাইসন সিং। তাঁর সেই সেন্টারে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন সুহেল ভাট। মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও সেই টাইসন–সুহেল যুগলবন্দী। ২৬ মিনিটে রেনবোর মাঝমাঠ বরাবর বাঁদিকে সাইড লাইনের কাছে ফ্রিকিক পেয়েছিল মোহনবাগান। টাইসনের ফ্রিকিক থেকে হেডে গোল করেন সুহেল ভাট। এই গোলের ক্ষেত্রে রেনবোর পোড়খাওয়া গোলকিপার শিলটন পাল অনেকাংশে দায়ী।
২ গোলে পিছিয়ে পড়েও দমে যায়নি রেনবো। প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিট দাপট দেখায় রেনবো এসি। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে চাপে ফেলে দিয়েছিল মোহনবাগানকে। ৩৯ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ এসেছিল রাজন বর্মনের সামনে। সায়ন দাসের ভুলে বল পেয়ে যান রাজন। মোহনবাগান গোলকিপার রাজা বর্মন কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেন। মিনিটে দুয়েক পরই ব্যবধান কমায় রেনবো। বক্সের বেশ কিছুটা বাইরে ফ্রিকিক পেয়েছিল রেনবো। অধিনায়ক সৌরভ দাশগুপ্ত ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত গোল করে ব্যবধান কমান। ব্যবধান কমানোর এক মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরায় রেনবো। রাজন বর্মনকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন সায়ন দাস। রেফারি পেনল্টির নির্দশ দেন। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান রাজন বর্মন। চলতি লিগে তিন–তিনটি গোল হয়ে গেল রাজনের।
দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল সমানতালে আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল কিন্তু গোল করার মতো ইতিবাচক সুযোগ তৈরি হচ্ছিল না। ৬২ মিনিটে আবার এগিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মোহনবাগানেক সামনে। ফারদিন আলির শট সময় মতো গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন রেনবো গোলকিপার শিলটন পাল। প্রথমার্ধে দুটি গোলের ক্ষেত্রে তিনি যে ভুল করেছিলেন, দ্বিতীয়ার্ধে তার প্রায়াশ্চিত্য করেন দীর্ঘদিন সবুজমেরুন জার্সি গায়ে কাটানো শিলটন। ৭৮ মিনিটে টম সিংয়ের বাঁপায়ের দুরন্ত শট বাজ পাখির মতো উড়ে গিয়ে কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান তিনি। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে দু–দুটি গোলের সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। একবার আটকে যায় শিলটনের কাছে। আর একবার সুহেল ভাটের হেড নেটের ওপরে আছড়ে পড়ে। জয় অধরাই থেকে যায় মোহনবাগানের কাছে।
❤ Support Us