Advertisement
  • দে । শ
  • ডিসেম্বর ১৩, ২০২২

থমথমে কাবুল।শহরের অভিজাত হোটেলে হামলার পিছনে আইএসএস। চিনের অর্থ সাহায্য রুখতেই কি অপকাণ্ড?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
থমথমে কাবুল।শহরের অভিজাত হোটেলে হামলার পিছনে আইএসএস। চিনের অর্থ সাহায্য রুখতেই কি অপকাণ্ড?

কাবুলের এক অভিজাত হোটেলে বিস্ফোরণ কাণ্ড ঘটানোর দায় স্বীকার করে রাতে আই এস এস বলেছে, আমরা বোমা হামলা করেছি। হোটেলটির নাম ‘নহর- এ-নও’ ঝকঝকে বিশাল তার চত্বর। সোমবার দুপুরে হানা দেয় জঙ্গিরা। গুলিরা আর বোমা ছুড়তে থাকে। খবর পেয়েই পুলিশ আর সেনা এসে হতেলতি ঘিরে ফেলে। রাতভর গুলির লড়াই চলতে থাকে। জঙ্গিরা এখনও হোতেল ছারেনি। পুলিশ আর রক্ষীবাহিনির গুলিতেই নিহত হয়েছে তিন জঙ্গি। আহতের সংখ্যা জানা যায়নি।
তালিবানরা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সন্ত্রাস নতুন মোড় নেয়। কখনও উপাসনাগৃহে কখনও মাদ্রাসায়,কখনও লোকালয়ে হামলা চালাতে থাকে আই এস এস। তাদের নেতা কে, পেছনে কোন রাষ্ট্র, এসব তথ্য এখনও অজ্ঞাত। পাকিস্তানের নামে কখনও কখনও অভিযোগ তুলেছে তালিবান সরকার। তথ্য প্রমান দিতে পারে নি। পাক-আফগান সীমান্তে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ অবসানের চেষ্টা করেছে দুপক্ষ। কিন্তু আফগান মুলুকের ভেতরে অন্তর্ঘাত, জঙ্গি আক্রমণ  থামেনি। তালিবানরা ক্ষমতায় আসার পর অভিজাত হোটেলে আক্রমণের প্রথম ঘটনা ঘটল সোমবার। উদ্বিগ্ন সরকার। হামলার মুহুর্তে হোটেলে বহু বিদেশি ছিলেন, তাঁদের বড় অংশ চীনের বাসিন্দা।
চিনের সঙ্গে তালিবান সরকারের সম্পর্ক মধুর। চিন আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে অর্থসাহায্য করেছে। চিনকে আঘাত দিতেই কি এই পরিকল্পিত জঙ্গি হামলা, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। বিদেশি সাহায্য ছাড়া আফগান মুলুকের আর্থিক অস্তিত্ব আরও বেশি বিপন্ন হবে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের  সাহায্য যথার্থ নয়। দাতার প্রধান ভূমিকায় চিন অবতীর্ণ।
চিনকে রুখতে চাইছে এখনকার সরকার বিরোধী সন্ত্রাসবাদীরা। একারণেই কাবুলের সবচেয়ে বড় আর অত্যাধুনিক হোটেলকে সহজ টার্গেট হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে। যেখানে চিনের ব্যবসায়ী ও আধিকারিকদের আসা-যাওয়া বিলকুল নিঃশব্দ নয়, বিরল নয় তো বটে।


❤ Support Us
error: Content is protected !!