- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
“পাদুকা রাখলেই পারতেন”, অভিষেকের জন্য ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকের চেয়ার ফাঁকা রাখা নিয়ে সেলিমের কটাক্ষ

দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকের পর সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র রাজনৈতিক সমালোচনা করলেন। মহম্মদ সেলিম এদিন বলেন, “গরু, কয়লা, বালি, চাকরি ইত্যাদি পাচার ও বিক্রি করে যারা বড় বাড়ি বানিয়েছে, এস্কালেটরে চড়ছে , বিপুল পরিমান টাকা খরচ করে যারা আইনজীবীদের কাছে গিয়ে রক্ষাকবক চাইছে , তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি লড়াই করছি। আমরা চাই আইন আইনের পথে চলুক।কোনও নৈশভোজের টেবিলে বসে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে এই দোষ আড়াল করা যাবে না। তাই দোষীর শাস্তির জন্য আমরা আগামী ৫ অক্টোবর ইডি-সিবিআই-র বিরুদ্ধে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিয়েছি।” সেলিম বুধবার সিপিএম রাজ্য দফতর থেকে নাম না করে এভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন। এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “অভিষেক বাঘের বাচ্চা।” সাংবাদিকদের এই বিষয় প্রশ্নের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সেলিম বলেন, “আমার জানা নেই, বাঘের বাচ্চারা কোনওদিন আইনজ্ঞের কাছে গেছে বলে জানা নেই। আর আইনে যা বলে তাতে জানি, বালি পাচার, গরু পাচার, কয়লা পাচার, চাকরি বিক্রির অপরাধে করোও ফাঁসি হয় না। গণধর্ষণ বা গণহত্যা করলে ফাঁসির সাজা হয়, তবে যদি কারও ফাঁসি হয় ফাঁসির বিরুদ্ধে থাকার জন্য আমি তার বিরোধিতা করব।”
“ইন্ডিয়া”-র সমন্বয় বৈঠকে অভিষেকের অনুপস্থিতির জন্য জোটের নেতা সঞ্জয় রাউত অভিষেকের চেয়ার ফাঁকা রাখার কথা বলেছেন। প্রসঙ্গে সেলিমকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “পাদুকা রাখতে পারতেন, যেমন মহাভারতে হয়েছিল। এবার বোঝা যাচ্ছে কেন সমন্বয় কমিটিতে আমাদের কেউ নেই।” এদিক শুভেন্দু অধিকারীকে :গিরগিটি” বলে কটাক্ষ করে মহম্মদ সেলিম। প্রসঙ্গত সম্প্রতি শুভেন্দু ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারে সিপিএম কর্মীদের বিজেপিতে জিগ্ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, এই প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”যিনি একদিন মেদিনীপুর থেকে সিপিএমকে ছাড়া করার জন্য কিষেণজিকে দিয়ে সিপিএম কর্মীদের খুন করিয়েছিলেন, তিনি তৃণমূল ছেড়ে এখন বিজেপিতে, তিনি এই কথা বলছেন? আসলে আমাদের দলের সমর্থকদের যে অংশটা ভয়ে, প্রলোভনে বিজেপি, তৃণমূলে চলে গিয়েছিল, তারা আবার ফিরে আসছে। আমরা উৎসব করে ওদের মতো ফেরাচ্ছি না। আসলে বাংলার রাজনৈতিক মূল্যবোধটা এরা নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা এবং বাংলার মানুষরা সেটা বুঝতে পারছেন। শুভেন্দু আগে নিজেকে, নিজের দলকে সামলাক। দেখা যাবে কোনদিন বাবুল সুপ্রিয়র মতো পদ হারিয়ে আবার গিরগিটির মতো তৃণমূলে ঢুকেছে।”
মহম্মদ সেলিম এদিন বলেন, পুজোর সময় মানুষ যখন পুজো উদ্বোধন, ফিতে কাটা নিয়ে মেতে থাকবে, তখন আমরা মানুষের দাবি, অধিকার ,প্রাপ্য নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবো। শারোদোৎসবে আমাদের বইয়ের ষ্টল হবে, যেটা বরাবর হয়। ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর পলিটব্যুরো বৈঠক হবে, তারপর অক্টোবরের শেষে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হবে। আমরা মানুষের পাশে মানুষের দাবি নিয়ে থাকব,যেমন ছিলাম।”
❤ Support Us