Advertisement
  • এই মুহূর্তে
  • মে ১৯, ২০২২

বাড়ছে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। কীভাবে ছড়ায় এই মাঙ্কি পক্স? রোগের‌ লক্ষণই বা কী?‌

চিকেন পক্সের চেয়ে কোথায় আলাদা ? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বাড়ছে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। কীভাবে ছড়ায় এই মাঙ্কি পক্স? রোগের‌ লক্ষণই বা কী?‌

কোভিড-উদ্বেগের মাঝেই চিন্তা বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স। গত দশ দিনে সাত জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর মাঙ্কি পক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করল ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এবার আমেরিকাতেও মাঙ্কি পক্সে প্রথম আক্রান্তের হদিশ মিলল। সম্প্রতি কানাড গেছিলেন ওই ব্যক্তি। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। আমেরিকার স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, এই রোগ খুব বেশি ভয়ঙ্কর নয়। এর থেকে জনগণের ঝুঁকির কারণ কম। ইউরোপের স্পেন আর পর্তুগালে ভালো রকম ছড়িয়েছে এই রোগ। কানাডার মন্ট্রিলে ১৩ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া একটি বার্তায় বলা হয়েছে, রোগীর দেহে অপরিচিত যে কোনও ধরনের ক্ষত দেখলেই সতর্ক হতে হবে।গত ৭ মে প্রথম মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর হদিশ মেলে লন্ডনে। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন। তাই বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, আফ্রিকাতেই কোনও ভাবে ওই ব্যক্তি এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেন। কিন্তু তারপর কী ভাবে আরও ছ’জন এই এই রোগে সংক্রমিত হলেন, তা নিয়ে নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কারণেই গোটা ব্রিটেন জুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কি পক্স এক বিশেষ ধরনের বসন্ত। জলবসন্ত বা গুটিবসন্ত তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি পরিচিত। তাই প্রতিকারও অপেক্ষাকৃত সহজ। কিন্তু এই মাঙ্কি পক্স ভাইরাসটি এতই বিরল, যে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তদের সুস্থ করতে নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা পদ্ধতি জানা নেই চিকিৎসকদের। আক্রান্তদের শরীরে প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পিঠ ও গায়ে ব্যথার মতো লক্ষণ। দেখা দিতে পারে কাঁপুনি ও ক্লান্তিও। দেহের বিভিন্ন গ্রন্থি ফুলে ওঠা। ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিতে পারে মুখে। ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে সেই ক্ষত। হাম, বসন্ত, স্কার্ভি ও সিফিলিসের কিছু কিছু লক্ষণের সঙ্গে এই রোগের উপসর্গগুলির কিছুটা মিল পাওয়া যায়। তাই অনেকেই এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গগুলি চিনতে ভুল করেন।

একাধিক বন্যপ্রাণীর মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। তবে এটি সবচেয়ে বেশি ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে। পাশাপাশি, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। শ্বাসনালি, ক্ষত স্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক-পরিচ্ছেদ থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সঙ্গমের মাধ্যমেও একে অপরের শরীরে হানা দিতে পারে এই ভাইরাস।

ভারতে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস হানা না দিলেও পর্তুগাল, স্পেন, ইউরোপ ও আমেরিকার মতো কয়েকটি দেশেও মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর হদিশ পাওয়া গিয়েছে।

 

 


❤ Support Us
error: Content is protected !!