- দে । শ
- জানুয়ারি ১০, ২০২৩
ডুবতে বসা জনপদকে বাঁচাতে বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার পথে হাঁটতে চলেছে ধামি প্রশাসন

ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে যোশী মঠ শহরের একাধিক ফাটল ধরা বাড়ি। ‘ডুবন্ত জনপদ- কে বাঁচাতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিল স্থানীয় প্রশাসন।
Joshimath land subsidence | The demolition of Hotel Malari Inn & Hotel Mount View which have developed more cracks will take place today. The areas declared ‘unsafe zones’ by the administration have been vacated.#Uttarakhand pic.twitter.com/OMNctYgsSe
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) January 10, 2023
ক্রমশ বসে যাচ্ছে যোশীমঠ। সোমবার নতুন করে আরও ৬৮ টি বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিপজ্জনক বাড়িগুলোকে চিহ্নিত করে সেখানকার বাসিন্দাদের দ্রুত অন্যত্র নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেওয়ার কাজ অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত ৮২ টি পরিবারকে অন্যত্র নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেওয়া সম্ভবপর হয়েছে বলে জানিয়েছে চামোলি জেলা প্রশাসন।
যোশীমঠের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য মঙ্গলবার কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল সেখানে আসবেন। জানুয়ারির ৫ ও ৬ তারিখে শহরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞ দল পরামর্শ দিয়েছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো যেন ভেঙ্গে ফেলা হয়। তাঁদের মতে, বাড়িগুলি ভেঙে দিলে, শহরের এই তলিয়ে যাওয়ার গতিতে রাশ টানা যাবে। তবে, বাড়ি ভাঙার পর দ্রুত ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সামনে সেই কাজই শুরু হবে। সহযোগিতা করবে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। ক্ষতিগ্রস্ত দুটি হোটেল মালারি ইন এবং হোটেল মাউন্ট ভিউ ভাঙার মাধ্যমে শুরু হবে এই কাজ।
চামোলি জেলার জেলা শাসক হিমাংশু প্রধান জানিয়েছেন যে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিসের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে যোশীমঠকে ধসপ্রবণ এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সেখানে যাবতীয় নির্মাণ কার্যকে আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায় যোশীমঠের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কল সিং ধামি ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সমস্ত মানুষকে একজোট হয়ে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকেও।
হিমালয়ের পাদদেশে ভূমিধসের ওপর গড়ে উঠেছিল যোশীমঠ। বিশেষজ্ঞদের কথায় মাটির ধারণ করবার ক্ষমতা পরীক্ষা না করেই একের পর এক নির্মাণ করা হয়েছিল। অন্যদিকে বাসিন্দারা এলাকার স্থানীয় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে এর জন্য দায়ী করছেন। যা সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করেছে এনটিপিসি। এখন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো ভেঙ্গে দিয়ে সমস্যার সমাধান কতটা করা সম্ভব হবে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা।
❤ Support Us