- দে । শ
- জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
মধ্যরাতের কাবুলে, গুলিতে ঝাঁঝরা ভূতপূর্ব মহিলা সাংসদ। সর্বোচ্চ ভয়শূন্য চিত্তের হত্যায় মর্মাহত বিশ্ব।
গুপ্তঘাতকদের পরিচয় জানতে চায় বহ্নিশিখার ফোঁস ফোঁস

কাবুলের প্রচণ্ড শীতেও, কাবু হল না জঙ্গিদের উৎপাত আর খুন খারাবি। রবিবার মধ্যরাত্রে, গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন প্রাক্তন সাংসদ মুরশাল নবিজাদ। দুঃসাহসী সুন্দরী মহিলা। বয়স ৩২। তালিবান আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার পরে, সুযোগ পেয়েও দেশ ছাড়েন নি। মহিলা নির্যাতন আর কঠোর অপশাসনের বিরুদ্ধে সব সময় সরব। নেতৃত্ব দিয়েছেন মিছিলের। মহিলাদের কাজের অধিকারের দাবিতে তাঁর তৎপরতা দেশে-বিদেশে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। কাবুল থেকেই নির্বাচিত আগের সরকারের আমলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ভূমিকা তাঁর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদূষী স্মার্ট। স্বাধীন আফগান সত্তা আর স্বাধীন চিন্তার প্রবক্তা। তাঁর ওপর হামলা হতে পারে, এরকম আশঙ্কা ছিল। বাড়িতে মোতায়েন থাকত নিরাপত্তা কর্মীরা। রবিবার হামলার মুহূর্তে তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন তাঁর ভাই এবং নিহত হন একজন নিরাপত্তারক্ষী। ভয়শূন্য সর্বোচ্চ চিত্ত বলেছেন খুরশাল ছিলেন আফগান মুলুকের সর্বোচ্চ ভয়শূন্য প্রবক্তা। ইউরোপীয়ান পার্লামেণ্টের সদস্য হান্নাহ নিভিমান বলেছেন, আমি শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ। বিশ্ব জানতে চাইবে, তাঁর খুনের পেছনে কে? রাতের অন্ধকারে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তালিবান তাদের নারী বৈষম্য প্রকাশ্যে তৈরি করেছে।
মুরশাল নবিজাদের হত্যা সরকারকে চাপে ফেলবে।ঝড় বইবে বিদেশে। আফগান মহিলারাও রাস্তায় নামতেও পারেন। নারী আন্দোলনের দুঃসাহসী কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবেন, বলে মনে হয় না। ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে বহ্নিশিখায় ফোঁস ফোঁস আওয়াজ উঠছে। তালিবানের প্রত্যাবর্তনে প্রবল অতীতমুখী হয়ে উঠছে আফগানিস্তান। পূর্ণাঙ্গ শরিয়তি আইন চাপানোর চেষ্টার বিরতি নেই। মৌলবাদ আর জঙ্গিবাদও বিরামহীন। প্রায়ই ধর্মস্থানে, লোকালয়ে রক্ত ঝরছে। মসজিদে ঝাঁঝরা হয়েছে অসংখ্য মানবদেহ। গণতন্ত্রের সঙ্গে সরাসরি আর সচেতন দূরত্ব তৈরির পরিণাম যে কী ভয়াবহ, তাঁর অন্যতম, নিকটতম নৃশংস মানবজমিনের নাম আফগানিস্তান। কুরূপের নৃত্য আর তাণ্ডবে বিশ্ব হতচকিত। কিংকর্তব্যবিমূঢ় নব্য হিটলারীয় শাসকগোষ্ঠী।
❤ Support Us