- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- মার্চ ২৯, ২০২৩
সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে মৈত্রী সম্ভব নয়, নয়াদিল্লির বৈঠকে নাম না করে পাক-চিনকে কড়াবার্তা দোভালের
চিত্র: সংবাদ সংস্থা
নয়া দিল্লিতে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। সম্মেলনের শুরুতে অজিত দোভাল তাঁর বক্তব্য পেশ করলেন। সংস্থার সভাপতি রূপে অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে ভারতে। পাকিস্তান ও চিনও ভার্চুয়ালি আলোচনা চক্রে যোগ দিয়েছে।
বৈঠকে দোভাল আঞ্চলিক যোগযোগের ওপর গুরুত্ব দেন। আর্থিক বিনিয়োগ বাড়িয়ে উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে সংযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন দোভাল। তাঁর মতে, উপমহাদেশের অবস্থিত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক মৈত্রী, একে অপরের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করেই এ সংযোগ স্থাপন গড়ে তোলা সম্ভব। সংস্থার সনদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, সদস্য দেশগুলোর সামনের দিকে এগিয়ে চলতে চায়। পরস্পরের সঙ্গে রেষারেষি, হানাহানি, এক দেশের সীমান্তে অন্য দেশের সামরিক প্রস্তুতি পরস্পরের প্রতি সহযোগিতার মানসিকতার ব্যাঘাত ঘটায়। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে গেলে সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের প্রদর্শন, সীমান্ত চুক্তির লঙ্ঘন করে সীমানা য় অনুপ্রেবেশ কখনোই কাম্য নয়। নাম না করে চিন ও পাকিস্তানের ভারতীয় সীমান্তে সাম্প্রতিক কার্যকলাপের নিন্দায় সরব হলেন দাভোল। একই সঙ্গে, আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের মধ্যে ইরানের চাবাহার বন্দর তৈরিতে ভারতীয় সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
চিন পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যার সমালোচনা করেছেন দাভোল। সন্ত্রাসবাদে মদত প্রসঙ্গেও তার নিশানায় পাকিস্তান সরকার। দোভাল বলেছেন, বিশ্ব শান্তি ও সুরক্ষার স্বার্থে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া নিন্দনীয়। বিশ্বের সব দেশকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যেসমস্ত আন্তর্জাতিক বিধি রয়েছে তা পালনে তৎপরতা দেখাতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি থাকা অনুচিত।
চিন ও পাকিস্তান ছাড়াও রাশিয়া , কিরঘিজস্তান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তানের প্রতিনিধিরা এ বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। দু’ দশক আগে আটটি সদস্য দেশকে নিয়ে সাংহাই কোর্পারেশান অর্গানাইজেশনের পথ চলা শুরু হয়। উদ্দেশ্য ছিল সদস্য রাষ্ট্র ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সামরিক, আর্থিক, বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক বোঝাপরড়া গড়ে তোলা। এবারো সে লক্ষ্য নিয়ে কোর্পারেশান কাজ করছে। আগামী মাসের ২৭ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠক রয়েছে। সেখানেও নেতৃত্ব দেবে ভারত। প্রতিরক্ষা ও সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতি সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচিত হওয়ার সম্ভাবনা।
❤ Support Us






