- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
অধীরের ‘বয়কট’ উপেক্ষা করেই আগামী ২৩ তারিখ বসতে চলেছে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ কমিটির বৈঠক

সারা দেশে সব রাজ্যের বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন একসঙ্গে করানো কীভাবে সম্ভব? এই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র যে আট সদস্যের কমিটি গড়েছিল, সেই কমিটি পুরোদমে কাজ শুরু করে দিল অধীর রঞ্জন চৌধুরীর উপস্থিতি ছাড়াই। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটির প্রথম বৈঠক আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর।
“এক দেশ এক নির্বাচন”, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিষ্কপ্রসূত এই পরিকল্পনার সব দিক খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। মোট ৮ সদস্যের ওই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কমিটিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থার প্রাক্তন আধিকারিকদেরও রাখা হয়েছে। রয়েছেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এন কে সিং। তেমনই রয়েছেন লোকসভার প্রাক্তন সাধারণ সচিব সুভাষ কাশ্যপ এবং বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে। প্রাক্তন চিফ ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি। বিতর্ক এড়াতে কংগ্রেসের লোকসভার নেতা হিসাবে অধীরকে চৌধুরীকেও রাখা হয় এই কমিটিতে। রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদও রয়েছেন জায়গা পেয়েছেন এই কমিটিতে।
তবে যেদিন এই কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা হয়, তার পরই অধীর রঞ্জন চৌধুরী ওই কমিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। বহরমপুরের সাংসদের বক্তব্য, এই এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রক্রিয়া আসলে নজর ঘোরানোর চেষ্টা। আর এই কমিটি গড়াটা আসলে আইওয়াশ। পুরোটাই আগে থেকে স্থির হয়ে আছে। তাছাড়া রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে কমিটি না রাখা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন অধীর।
মনে করা হচ্ছে, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর অধীরকে বাদ দিয়েই প্রথম বৈঠকে বসছে ওই কমিটি। সংসদের বিশেষ অধিবেশনের ঠিক পরদিন কমিটির বৈঠকে বসাটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কমিটির কাজ হবে এই মুহূর্তে দেশে একসঙ্গে লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করানো সম্ভব কিনা সেটা খতিয়ে দেখা। সেক্ষেত্রে কী কী সমস্যা আসতে পারে, বা সেই সমস্যার সমাধান কী, সবটা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন কমিটি। এই কমিটি কী শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদির ইচ্ছেয় গুরুত্ব দিয়ে “এক দেশ, এক নির্বাচন”-এ সম্মতি দেবে? সেটাই দেখার !
❤ Support Us