- দে । শ
- এপ্রিল ১৬, ২০২৪
সীমা হায়দারকে তলব নয়ডার এক পারিবারিক আদালতের

পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দারকে নয়ডার একটি পারিবারিক আদালত ডেকে পাঠিয়েছে। তাঁকে ২৭ মে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীমা সন্তানদের নিয়ে তাঁর প্রেমিক শচীন মীনার সঙ্গে নেপাল হয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। সীমার পাকিস্তানি স্বামী গোলাম হায়দার মার্চ মাসে একজন ভারতীয় আইনজীবীর মাধ্যমে সিটি কোর্টে সীমা ও তাঁর সঙ্গী শচীন মীনার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন।
করাচির গোলাম হায়দারের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন সীমা। তাঁদের চারটি সন্তান রয়েছে। মোবাইলে পাবজি গেম খেলার সময় ভারতের শচীন মীনার সঙ্গে আলাপ হয় সীমার। ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শচীনের সঙ্গে থাকতে ২০২৩ সালের মে মাসে চার নাবালক সন্তানসহ নেপাল হয়ে ভারতে পাড়ি জমান সীমা। দুজনে দাবি করেন, কাঠমান্ডুতে দুজনে বিয়ে করেন। গত মাসে তাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকীও উদযাপন করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেপাল হয়ে ভারতে আসার সময় সীমা হায়দারের প্রথম স্বামী সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন।
করাচিতে বসবাসকারী গোলাম হায়দার শচীন মীনার সাথে সীমার বিয়ের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে ভারতীয় আইনজীবীর মাধ্যমে নয়ডার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। গোলাম হায়দার পিটিশনে তাঁর সন্তানদের ধর্মান্তরকে চ্যালেঞ্জও করেছেন। গোলাম হায়দারের আইনজীবী মোমিন মালিক দাবি করেছেন যে, সীমা গোলাম হায়দারের কাছ থেকে ডিভোর্স নেননি এবং শচীনের সঙ্গে তার বিয়ে বৈধ নয়। মিসেস হায়দারকে ২৭ মে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
গোলাম হায়দার প্রথমে তাঁর চার সন্তানের হেফাজতে সাহায্যের জন্য একজন শীর্ষ পাকিস্তানি আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী আনসার বার্নির সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। এরপর আনসার বার্নি আলি মোমিনকে ভারতে নিয়োগ করেন এবং তাঁকে ভারতীয় আদালতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি পাঠান। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সীমা আগেই বলেছিলেন যে, তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং পাকিস্তানে ফিরে যেতে চান না। সীমা হায়দার দাবি করেছেন যে, তাঁর সন্তানরাও হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের ধর্মান্তরকরণ নিষিদ্ধ।
❤ Support Us