- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ৩০, ২০২৩
ভোটের বাকি ৮ দিন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জটিলতা এখনো অব্যাহত

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর মাত্র ৮দিন বাকি। তবে এখনও রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করে বলতে পারছে না ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কবে রাজ্যে এসে পৌঁছবে।
এদিকে শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে এই ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কবে আসছে? উত্তরে বলেন, “কেন্দ্রের চিঠির জন্য অপেক্ষা করছি।”
এর আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠায়। সেই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এলেও তারপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠায়। তবে এখনও পুরো কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসে পৌঁছয়নি। তবে শুক্রবার ৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী উত্তর দিনাজপুরের বালুরঘাটে এসে পৌঁছেছে।
শুক্রবার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেছেন, “একদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে আর একদিকে তৃণমূলের বাহিনী দেখিয়ে দেখিয়ে ছাপ মারবে। কত গুলি করবে? মহাফেজখানার গুলি শেষ হয়ে যাবে।”
এদিকে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১১ জন সরহ নাগরিকের প্রাণ হারাতে হয়েছে। ক্যানিং, ভাঙড়, চোপরায় তীব্র সংঘর্ষ, রক্তক্ষয় আমরা দেখেছি। ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রোজই কোথাও না কোথাও সংঘর্ষ, খুনের ঘটনা পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে।”
তবে আদালত জানতে চাওয়ার পরও কোথায় কত বহিনী পাঠানো হবে সেই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত সঠিক ভাবে কিছু জানাতে পারেনি। এমন কি কোন বাহিনী কোথায় মোতায়েত করা হবে সেই সংক্রান্ত কোনও পরিকল্পনাও কমিশন আদালতে কিংবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জানাতে পারেনি। তার ফলে কেন্দ্রের পক্ষের আইনজীবি কলকাতা হাইকোর্টে বলেছেন, এক বারে ৮২২ কেম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী তখনই দেওয়া সম্ভব যদি ২০১৩ সালের মডেলে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়। অর্থাৎ এক দফার বদলে যদি ৫ দফায়, ২০১৩ সালের মতো করে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়। হাইকোর্টও বাহিনী সংক্রান্ত মামলার পর্যবেক্ষণের সময় বলে, ২০১৩ চাইতে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে। এর পর আদালতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বাড়ানোর জন্য বিজেপি, কংগ্রেস আবেদন করলেও সেই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা নির্বিকার। তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলেই তিনি বলছেন, “পরুস্থিতির উপর নজর রদখছি।” আদালতও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের এই নীরবতা দেখে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছে, এমন কিছু করুণ যাতে মানুষের ভরসা তৈরি হয়। তবে এখনও কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসেছে, আর কত আসবে তাও যেমন জানা নেই তেমনই মানুষের মনে আস্থা ফেরাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী করতে চাইছে, কমিশন কতোটা প্রস্তুত, সেটাও কেউ জানতে পারছে না ভোটের মাত্র ৮দিন আগেও।
❤ Support Us