- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জুন ১৫, ২০২৩
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের রায় ফেলে রাখার জন্য নয়। কমিশনকে সতর্ক করল হাইকোর্ট

বৃহস্পতিবার সকালে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মূলত রাজ্যের স্পর্শকাতর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়েই রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই মামলা। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায়। তবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, অশান্তির খবর সংবাদপত্রে দেখা যাচ্ছে। কমিশনকে স্পর্শকাতর জেলায় সেনা বাহিনী নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কমিশন আদালতের এই নির্দেশ না মনলে উচ্চ আদালতে যাক। না হলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত নেবে। রায় ফেলে রাখার জন্য দেওয়া হয়নি। রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, তাহলে কি সারা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দেব? এই মামলার আজই আবার শুনানি হবে।
মঙ্গলবারই পঞ্চায়েত নির্বাচন মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ জানিয়েছিল, রাজ্যের স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কমিশন ইতিমধ্যে যে সব জেলাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে, সেখানে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের জন্য কেন্দ্রের কাছে রিক্যুইজিশন পাঠানো হোক।
কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি, পঞ্চায়েত মামলা চলাকালীন কমিশন একটি বা একাধিক জেলাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করে কোনও রিপোর্টই পেশ করেনি। সে রকম কোনও প্রাথমিক মূল্যায়নও করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হতে পারে কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কিংবা হাইকোর্টের কাছে ভুল তথ্য পেশ করা হয়েছে। এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতেই হাইকোর্ট চূড়ান্ত রায় দিয়েছে। তাই আদালত সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে পুরনো রায় পুনর্বিবেচনা করুক।
এদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে স্পর্শকাতর জেলা নিয়ে এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী ঋজু ঘোষাল বলেন, “তাহলে কমিশনের আইনজীবী জেনেশুনে মহামান্য হাইকোর্টকে ভূল তথ্য দিয়েছেন। এর জন্য ওই আইনজীবী ও নির্বাচন কমিশনের শাস্তি পাওয়া উচিত।”
কলকাতা হাইকোর্টে থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন তাদের মনোমতো কোনও রায় না পেলে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ৭৩ হাজার বুথ পাহারা দেওয়া ও ভোটের সময়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য রাজ্যে পর্যাপ্ত পুলিশ নেই। স্বরাষ্ট্র দফতর কত সংখ্যক পুলিশকে ভোটের জন্য মোতায়েন করতে পারবে সে ব্যাপারে নবান্নের থেকে হিসাব চেয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। নবান্ন কত পুলিশ দিতে পারবে তা এখনও কমিশনকে জানায়নি।
❤ Support Us