Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ২৭, ২০২৩

নবান্ন থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন, দলীয় ইস্তেহার প্রকাশ করে মন্তব্য শুভেন্দুর

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নবান্ন থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন, দলীয় ইস্তেহার প্রকাশ করে মন্তব্য শুভেন্দুর

“পুরো পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছে নবান্নের ১৪ তলা।” মঙ্গলবার বিজেপি রাজ্য দফতরে দলের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমরা যে কটা আসনে পঞ্চায়েতে জিতবো,আমাদের সেখানে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। আমরা রাস্তায়, নির্বাচনে, আদালতে, সর্বত্র লড়ব।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ইস্তেহারকে সংকল্প পত্র বলে উল্লেখ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলাম আমরা। প্রথমত দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত, জনধন যোজনার সুবিধা সঠিক প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া, আয় ভিত্তিক জনগণনা, কৃষি ভিত্তিক গ্রিণ প্ল্যান সহ একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি রয়েছে এই ইস্তেহারে।”
শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, “২০১৩ সালে মীরা পাণ্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগ করেছিলেন। এখন তৃণমূল পুলিশ দিয়ে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিজেরা পরিচালিত করে ভোট লুটের ব্যবস্থা করেছে। বিজেপির এক ক্যানাসার আক্রান্ত প্রার্থীকেও পর্যন্ত আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না।”
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে ছিলেন। সেই কারণেই হয়তো তৃণমূলের পঞ্চায়েত লুটের এই কানিহী বিজেপি নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বকাচ্ছেন, যাতে বাংলার মানুষের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য হয়। তবে বিজেপির পাশাপাশি এটাও মনে অবশ্যই রাখতে হবে যে ২০১৮ -র তৃণমূল যদি ভোট লুট করে থাকে তাহলে সেই সময় তৃণমূলে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই বলা যায় বিজেপির বিরুদ্ধে ২০১৮-র সেই তৃণমূলের ভোট লুটের একজন ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির অন্যান্য নেতারা ২০২৩-এর রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তাঁদের বক্তব্যে তুলে ধরেন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা অথচ রাজ্যের গণতন্ত্র ধর্ষিতা হচ্ছে।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!