Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ১৯, ২০২৩

উনি চাইলেই ভাঙড় থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেব, শান্তি স্থাপনে মুখ্যমন্ত্রীকে নওশাদের বার্তা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
উনি চাইলেই ভাঙড় থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেব, শান্তি স্থাপনে মুখ্যমন্ত্রীকে নওশাদের বার্তা

“মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি চান তাহলে ভাঙড়ের শান্তির জন্য প্রয়োজনে আইএসএফ-এর সব প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেব”, সোমবার বললেন, ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।

ইতিমধ্যেই ভাঙড়ে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে আইএসএফ, তৃণমূল কর্মীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

নওশাদ সিদ্দিকী সোমবার বলেন, “সমাজ পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করতে এসে আমি মানুষের প্রাণহানি হোক সেটা চাই না। ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মী যেমন মারা গেছে তেমন তৃণমূল কর্মীও মারা গেছেন। যাঁরা মারা গেছেন তাঁরা কারও ভাই, কারও দাদা, কারও স্বামী, কারও ছেলে। তাই আমি চাই না নির্বাচন করতে গিয়ে এই ভাবে মানুষের প্রাণ যাক। তাই ভাঙড়ের শান্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রী যদি চান তাহলে আমি ভাঙড়ের জনগনেট সঙ্গে কথা বলে তারা সম্মত হলে ভাঙড় থেকে আইএসএফ-এর সব প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেবো। মুখ্যমন্ত্রী যদি আমায় ভাঙড়ের শান্তির জন্য আলোচনায় ডাকেন, কথা বলেন তাহলে তাঁকে আমি এটাই জানাব।”

এদিকে নওশাদ সিদ্দিকীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলোন, “হেরে যাওয়ার ভয়ে এখন এই নাটক করা হচ্ছে। ভাঙড়ে বোমা, গুলি মজুত করে, দুস্কৃতীদের দিয়ে তৃণমূল কর্মী খুনের পর এখন এসব কথা বলছেন কেন নওশাদ? উনি শান্তি চাইলে ওনার দলের লোকজনদের সামলান। এই নাটক করতে হবে না।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “নওশাদ যা বলছেন তরুণ নেতা হিসাবে সেটা বলতেই পারেন তবে তিনি যা চাইছেন তার বাস্তবতা কতটা সেটাই দেখার।”

প্রসঙ্গত কাকদ্বীপের সভা থেকে ভাঙড়ের ঘটনায় তাঁর দল জড়িত নয় বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগেই দাবি করেছেন। পাশাপাশি আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীর নাম না করে তাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, “লজ্জা করে না, বিজেপির বাচ্চা, বিজেপির কাছ থেকে টাকা খেয়ে,লোক মেরে এখন এসব করছেন। ভাঙড়ে আমাদের লোক খুন হয়েছে। একটা আসনে জিতে বড় বড় কথা। লজ্জা করে না?”

১৬ জুন বিকেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাকদ্বীপের নব জোয়ারের শেষ সভামঞ্চ থেকে এই মন্তব্য করার পর নওশাদ সিদ্দিকী বলেছিলেন, “সওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলাম ভাঙড়ে সন্ত্রাস করছে। আমার সঙ্গে পেরে না উঠে মুখ্যমন্ত্রী এখন আমার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কের কথা বলছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ করুণ, আমি টাকা নিয়েছি। তিনি যে দাবি করছেন, তাঁর দলের কর্মীরা ভাঙড়ে খুন হয়েছেন তিনি এই মৃতদের আধার কার্ড দেখান, আমি তো আমার দলের কর্মী, যিনি মারা গেছেন, তাঁর আধার কার্ড দেখাচ্ছি।”

তবে ভাঙড়ের শান্তি ফেরানোর জন্য নওশাদ সিদ্দিকী যে ভাবে এখন তাঁর বার্তা মুখ্যমন্ত্রীকে দিলেন তা যথেষ্ট মানবিক ও কৌশলী। তবে কেন তিনি হঠাৎ করে ভাঙড়ে শান্তি স্থাপন করতে গিয়ে জনগণ চাইলে আইএসএফ এর সব প্রার্থীর মনেনয়ন প্রত্যাহার করে নেবো, বলছেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। কেননা নওশাদ সিদ্দিকী নিজেই বলেছিলেন, তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা ও আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বেই ভাঙড়ে অশান্তি, খুনের মতো ঘটনা ঘটছে, এটা কাম্য নয়। প্রশ্ন তাহলে এটা কী নওশাদের নতুন রাজনৈতিক কৌশল?


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!