Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ৩০, ২০২৩

মদন নিশানায় এবার আনন্দ

মদন নিশানায় এবার আনন্দ

“এইখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে আর তার পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের ছেলেরা দেখিয়ে দেখিয়ে তৃণমূলে ছাপ মারবে। কত সেনা আনবে? মহাফেজখানার গুলি শেষ হয়ে যাবে। আমরা বুক ফুলিয়ে জিতব। পশ্চিমবঙ্গকে মোকাবিলা করতে সেনা বাহিনী ছাড়া হবে না।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক ৮দিন আগে, শুক্রবার, এভাবেই হুঙ্কার দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূল তার মতো করেই পঞ্চায়েত নির্বাচন জিতে নিচ্ছে।

এদিকে মদন মিত্র যখন কললাতায় এই হুঙ্কার দিচ্ছেন তার কিছুক্ষণ আগে শুক্রবারই কালিংপং থেকে আবারও পচায়েত নির্বাচনের মুখে রাজ্যে শান্তির বার্তা দিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বললোন, “শিক্ষা হোক দুর্নীতি মুক্ত, সমাজ হোক সন্ত্রাস মুক্ত।”

এদিকে শুক্রবার রাজ্যপালকেও নিশানা করতে ছাড়লেন না তৃণমূলের এই রঙিন বিধায়ক মদন মিত্র। রাজ্যপালের উদ্দেশে মদন মিত্র বললেন, “১১ তারিখ টিকিট কাটতে হবে সিভি বোসকে। দিল্লি ফিরিয়ে নেবে।ধনকরের মতো হনু হওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল।”
রাজ্যপাল যখন শান্তিতে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে হয় তার জন্য বার্তা দিয়ে চলেছেন, যখন বলছেন গণতন্ত্রের পাহারাদারদের হাতে যেন গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘণ্টা না বাজে বা যখন তিনি বলছেন আর এক ফোঁটা রক্তপাত হলে তার দায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের, তখন মদন মিত্রর মুখে এ কোন গণতন্ত্রের ভাষা? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে।
এই প্রসঙ্গে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “আইন মেনে চলা মানুষ কখনও এই ভাষায় কথা বলতে পারে? মদন মিত্র নিজের খুশিতে চলেন। ওঁর কথার কী উত্তর দেব? আসলে দুস্কৃতী,পুলিশ,তৃণমূল এক হয়েছে। তাই একদিকে রাজ্যপালকে অন্যদিকে ভোট লুটের হুঁশিয়ারি দিয়ে মানুষকে সন্ত্রস্ত করছেন।”
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “মদন মিত্র তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলে আছেন। তিনি জানেন তৃণমূল কোথা থেকে এসেছিল, কোথায় আছে এবং কোথায় যাচ্ছে। চাই উনি সুরে থাকুন, অসুরে যাচ্ছেন কেন?”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!