- দে । শ
- এপ্রিল ২৮, ২০২৫
বিদ্যাধরী নদীর বাঁধে বড় ফাটল। আতঙ্কে সন্দেশখালির মানুষ

বিদ্যাধরীর বাঁধে ফাটল। যেকোন সময় কংক্রিটের রাস্তা নদী গ্রাস করতে পারে। আতঙ্কে দিন কাটছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির গাজিখালি গ্রামের বাসিন্দাদের। গত অমাবস্যার কোটালেও উদ্বেগে কেটেছে। কোথাও কোথাও নদীবাঁধ ভেঙে, ধস নেমে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বাঁধ সেভাবে মেরামতি হয়নি। আতাপুরে ভাঙা বাঁধ জুড়লেও তা এখনও শক্তপোক্ত হয়নি। এখন আবার অমাবস্যার কোটাল। নদীর জল ফেঁপে রয়েছে। সেই সঙ্গে বাতাসের বেগও বেশি।
উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া নদীগুলি উত্তাল এখন। মে মাসের প্রথমেই আবার বুদ্ধ পূর্ণিমা। নদী বাঁধের যা অবস্থা পূর্ণিমার কোটাল কতটা সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে আশঙ্কা দানা বেঁধেছে সন্দেশখালি এলাকার মানুষের মনে। সন্দেশখালি ১ ব্লকের ন্যাজাট, বয়ারমারি সহ আশপাশের গ্রামের মানুষ সেই আশাঙ্কায় ভুগছেন।
দু’দিন আগে সন্দেশখালি ১ ব্লকের গাজিখালি ফেরিঘাটের কাছে কলোনিপাড়া এলাকায় বিদ্যাধরী নদীর বাঁধে ফাটল দেখা যায়। এলাকাটি বরাবরই ভাঙন প্রবন। রাস্তার পাশে পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে তৈরি একটি পার্ক গত ২ বছরে নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে দেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নদী এখন রাস্তার কাছে এসে গেছে। কংক্রিটের রাস্তা বরাবর অনেক খালি এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা গেছে। বলতে গেলে এবার ধস নেমে রাস্তা সমেত নদিতে তলিয়ে না যায়। এলাকার বাসিন্দা পুরঞ্জয় ভৌমিক, বিকাশ দাস বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই এলাকায় বাঁধ ভাঙছে। যতবার বাঁধ ভাঙে বা ধস নামে ততবার মাটি ফেলে কোন রকমে তা মেরামত করা হয়। স্থায়ী বাঁধ তৈরি হচ্ছে না।’ তাঁরা বলেন, ‘২ বছরের মধ্যে একটি পার্ক, শিশুদের খেলার জায়গা নদীতে তলিয়ে গেছে। এখন যেভাবে রাস্তার পাশে ফাটল দেখা গেছে তাতে সত্ত্বর মেরামতি না হলে বড় বিপদ হবে।’ বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, সন্দেশখালির নদী বাঁধের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। কোথাও কোথাও সেচ দপ্তর কাজ করছে। গাজিখালি গ্রামে নদীবাঁধ ভাঙনের সমস্যা নতুন নয়। বাঁধের ফাটল মেরামতির জন্য ব্লক প্রশাসন থেকে সেচ দপ্তরকে জানানো হয়েছে।
❤ Support Us