Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫

মিজোরামে রেলপথে নবযুগের সূচনা। চুরাচান্দপুরের পথে প্রধানমন্ত্রী

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মিজোরামে রেলপথে নবযুগের সূচনা। চুরাচান্দপুরের পথে প্রধানমন্ত্রী

রেলপথে দেশের মূল স্রোতের সঙ্গে যুক্ত হল মিজোরাম। ৮০৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বৈরবী-সৈরাং রেললাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তর মিজোরামের বৈরবী রেলপথে এখন সরাসরি সংযুক্ত হয়ে পড়ল অসমের শিলচরের সঙ্গে। পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে প্রথম বারের মতো মিজোরামে ট্রেনের চাকা গড়াতে চলেছে। আইজলে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আজ থেকে মিজোরামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটল।” এই প্রকল্প মিজোরামবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাল।

পাহাড় কেটে, ৪৫টি সুড়ঙ্গ ও ১৪৩টি সেতুর মাধ্যমে তৈরি এই রেললাইন শুধু যাতায়াতই নয়, রাজ্যের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরও দুয়ার খুলে দিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। শনিবার, আইজলে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৯০০০ কোটি টাকার একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এই ঐতিহাসিক রেলউদ্বোধনের পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় মণিপুর। প্রায় আড়াই বছরের জাতিগত সংঘর্ষ-পর্বের পর এই প্রথমবার মণিপুর সফরে যাচ্ছেন তিনি। সফরে তিনি মেইতেই অধ্যুষিত ইম্ফল এবং কুকি অধ্যুষিত চুরাচান্দপুর— দুই এলাকাতেই যাবেন। চুরাচান্দপুরে পৌঁছে তিনি সংঘর্ষে ঘরছাড়া মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন, শুনবেন তাঁদের অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ। এছাড়াও, চুরাচান্দপুর ও ইম্ফলে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করার কথা রয়েছে তাঁর।

জাতিগত বিভাজনের আবহে এই সফর নিছক রাজনৈতিক নয়, বরং শান্তির বার্তা নিয়েই প্রধানমন্ত্রী হাজির হচ্ছেন বলে মনে করছে বিশ্লেষক মহল। মোদি নিজেও বলেন, “উত্তর-পূর্বকে এত দিন ধরে কিছু রাজনৈতিক দল শুধুই ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে। এই মানসিকতা পরিবর্তন করতেই আমাদের প্রচেষ্টা।”

এই সফর মিজোরামকে উন্নয়নের সঙ্গে এবং মণিপুরকে শান্তির পথে ফেরানোর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছেন অনেকেই।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!