Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • আগস্ট ২৬, ২০২৩

২৩ অগাস্ট “জাতীয় মহাকাশ দিবস”, বিক্রমের অবতরণস্থলের নতুন নাম । গ্রিস ফেরতা ইসরোতে এসেই ঘোষণা মোদির

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
২৩ অগাস্ট “জাতীয় মহাকাশ দিবস”, বিক্রমের অবতরণস্থলের নতুন নাম । গ্রিস ফেরতা ইসরোতে এসেই ঘোষণা মোদির

গ্রিস থেকে দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী সোজা চলে গেলেন ইসরোর। সেখানে গিয়ে তিনি চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণস্থলের নাম রাখলেন ‘শিবশক্তি’। শনিবার সাতসকালে ইসরো পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই নামকরণ করলেন। একই সঙ্গে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ চাঁদের যে জায়গায় ভেঙে পড়েছিল, সে জায়গাটির নাম দিলেন ‘তেরঙা’। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের জন্য ২৩ অগস্ট দিনটিকে ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’ হিসাবে ঘোষণাও করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাফল্যের জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইসরোর বিজ্ঞানীদের ধৈর্য্য, পরিশ্রম দেশকে যে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে, তা সাধারণ নয়। ভারতীয় বিজ্ঞানের অগ্রগতির শঙ্খনাদ শোনা যাচ্ছে।’’

নরেন্দ্র মোদি এদিন আরও বলেন, ‘‘ভারত চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে। ইসরো আমাদের দেশকে গর্বিত করেছে। আমরা চাঁদের যে জায়গায় পৌঁছেছি, সেখানে আগে কেউ পৌঁছয়নি। সারা বিশ্ব ভারতীয় প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের প্রশংসা করছে। চন্দ্রযান-৩ শুধু ভারতের না, মানবতার সাফল্য। এই অভিযান দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন রাস্তা পথ দেবে। পৃথিবীর সমস্যা সমাধানের কাজও করবে। আমি ইসরোর সব বিজ্ঞানী, কৌশলী এবং চন্দ্রযান-৩-এর সঙ্গে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’’

দু’দেশ সফর শেষ করে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করতে শনিবার সাতসকালে বেঙ্গালুরু পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার সকালে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের বাইরে সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের নেপথ্যে থাকা ইসরো বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করবেন বলে ইসরোর কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বিমানবন্দরের বাইরে মোদির মুখে শোনা গেল বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের প্রশংসা। ইসরোর সাফল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘’জয় বিজ্ঞান জয় অনুসন্ধান।”

বেঙ্গালুরুতে অবতরণের পরই সমাজমাধ্যম ‘এক্স’ (টুইটার)-এ পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী ইসরো বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করার কথা জানান। তিনি লেখেন, “বেঙ্গালুরুতে অবতরণ করেছি। আমি ইসরো সেই সব বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি যাঁরা চন্দ্রযান-৩ অভিযানকে সফল করে ভারতকে গর্বিত করেছেন।’’

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানানোর জন্য বিমানবন্দরে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার ছিলেন না। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে বিমানবন্দরের বাইরে বক্তৃতা করার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি নিজেই মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে বলেছিলাম যে, তাঁরা যেন না আসেন। কারণ, আমি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য চলে যাব।’’ এর পরই প্রধানমন্ত্রী ইসরোর উদ্দেশে রওনা দেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!