- এই মুহূর্তে দে । শ
- আগস্ট ২৭, ২০২৪
টাকা ট্রান্সফারের চেষ্টা করতেই লোকেশন পায় পুলিশ
টাকা ট্রান্সফারের জন্য মোবাইল চালু করতেই বিপত্তি। বর্ধমানের নান্দুরের আদিবাসী তরুণী প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা খুনে অভিযুক্ত অজয় টুডুর লোকেশন পেয়ে যায় পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই পাঁশকুঁড়া থেকে অজয়কে জালে তোলে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে ও অজয়কে দফায় দফায় জেরা করে নানা তথ্য উঠে আসছে। অজয়-প্রিয়াঙ্কার সম্পর্কে চিড় ধরার কারণ হিসেবে যে তথ্য পুলিশের খাতায় উঠে এসেছে, তা হল, অজয়ের আগেও এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সেটা জানতে পেরেই অজয়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে প্রিয়াঙ্কা। দুজনেই কর্মসূত্রে বেঙ্গালরুতে থাকলেও মাস দুয়েক ধরে প্রিয়াঙ্কা অজয়ের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করছিল না। শুধু দিনে দু’চারবার ফোনে কথাবার্তা হত। শেষমেশ নান্দুরের বাড়িতে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেয় প্রিয়াঙ্কা। ১২ আগস্ট হাওড়াগামী ট্রেনে চাপে প্রিয়াঙ্কা। তা জেনে একই ট্রেনে সওয়ার হয় অজয়ও। হাওড়া স্টেশন থেকে বাড়ির লোকজন প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে যাওয়ায় অজয় আর স্টেশনে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে মোলাকাত করতে পারেনি। স্টেশনের আশেপাশে ২ রাত কাটিয়ে ১৪ আগস্ট হাওড়া-বর্ধমান লাইনের লোকাল ট্রেনে চেপে গাংপুর স্টেশনে নামে। সেখান থেকে প্রিয়াঙ্কাকে ৯০ বার ফোন করে অজয়। প্রিয়াঙ্কা বারেবারে ফোন কেটে দিলেও শেষ পর্যন্ত অজয়ের ফোন ধরে। অজয় প্রস্তাব দেয়, অজয়ের দেওয়া সমস্ত জিনিসপত্র ফেরত দিলে অজয় এই সম্পর্ক রাখবে না। অজয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে বাড়ির বাইরে বের হয় প্রিয়াঙ্কা।
সেই রাতেই প্রিয়াঙ্কাকে গলার নলি কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। খুনের পর প্রিয়াঙ্কার মোবাইলটাও অজয় নিয়ে যায়। খুনের জন্য যে অস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছিল, তা আদতে ফল কাটার ভোঁতা ছুরি। ছুরিটা তার ব্যাগে সবসময়ই থাকত। খুনের পর ছুরি ও রক্তমাখা জামা-প্যান্ট একটা ব্যাগে ভরে ফেলে দেয়। সেগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুনের পর অজয় ঠিক করেছিল বেঙ্গালরু চলে যাবে। কিন্তু হাতে মাত্র ৮০০ থাকা পড়ে থাকায় আর আত্মগোপনে থাকাকালীন ভালরকম খরচ হয়ে যাওয়ায় বেঙ্গালরু যেতে পারছিল না। টাকার জন্য প্রিয়াঙ্কার মোবাইল থেকে টাকা ট্রান্সফারের চেষ্টা চালাতেই অজয়ের অবস্থান পেয়ে যায় পুলিশ। বেঙ্গালরুতে প্রথমে একটা শপিং মলে কাজ করত অজয়। পরে একটা ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থায় কাজ পায়। সেখানে মাসে ২২ হাজার টাকা মাইনে পেত। বাড়িতে টাকা পাঠাত না। ফূর্তি করে কাটাত। একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ত। সব মিলিয়ে অজয় একেবারে গুণধর।
❤ Support Us