- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২২, ২০২৩
৪৮ ঘণ্টা নবান্নের সামনে ডিএ-র দাবিতে ধরনা, সময়সীমা কমাল হাই কোর্ট। ধরনা মঞ্চে হাজির বিকাশ, কৌস্তভ
আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে নবান্নের সামনে ডিএ আন্দোলনকারীদের ধরনা ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। ধরনার জেরে যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অসুবিধা হচ্ছিল পুলিশের। তবে ধরনা কর্মসূচির সময়সীমা কমিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, নবান্ন বাস স্ট্যান্ডে ৭২ ঘণ্টার বদলে ৪৮ ঘণ্টা ধরনা কর্মসূচি করা যাবে। সেই নির্দেশ মতোই নবান্নের সামনে ধরনা চলছে ডিএ -র দাবিতে। আন্দোলন করছে সংগ্রামী জপাঠ মঞ্চ।
বৃহস্পতিবারই ডিএ’র দাবিতে নবান্নের সামনের ধরনার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয় হাই কোর্ট। নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অবস্থানে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আদালত জানায়, ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর ধরনায় বসতে পারবেন তারা। তবে আদালতের শর্ত ছিল, ৩০০ জনের বেশি একসঙ্গে ওই ধরনামঞ্চে থাকতে পারবেন না। একইসঙ্গে আদালত জানায়, দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে করতে হবে অবস্থান আন্দোলন। জাতীয় সড়কের ওপর যাতে কোনও প্রভাব না পরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালতের সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করে বৃহস্পতিবার মাঝরাতেই নবান্নের উলটোদিকের বাস স্ট্যান্ডের উলটোদিকে ধরনায় বসে পড়েন ডিএ আন্দোলনকারীরা। ঢাক পিটিয়ে, বাটি বাজিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। সকাল থেকেই সমানে চলে স্লোগান, উঠছে ‘বল হরি বোল’ ধ্বনি। ওই ধরনায় পুলিশি বাধা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ভিডিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। তবে নবান্নের সামনের থেকে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার রাজ্য সরকারের দাবিকে মান্যতা দিল না হাই কোর্ট।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে ধরনার সময়সীমা ৭২ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা করে দিয়েছে। ফলে শনিবার বিকালেই ওই ধরনা কর্মসূচি শেষ করতে হবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে। এদিন শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার পরও কেন বিক্ষোভ?
এদিকে এই ধরনা কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “ডিএ কর্মচারীদের অধিকার। হাই কোর্ট এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এমন ভাবে বলছেন যেন সকালে ঘুম থেকে উঠে তাঁর মনে হল আর ডিএ ঘোষণা করলেন। এটা নয়। ডিএ সরকারি কর্মচারীদের অধিকার।” ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “আমরা ডিএ -র দাবিতে হাই কোর্টে মামলা করে রাজ্যের বিরুদ্ধে জিতেছি। তারপর রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালতে সেই মামলার শুনানি। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য লড়াই করছি। মুখ্যমন্ত্রী ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছেন, আমাদের দাবি ৪০ শতাংশ ডিএ। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। ৪ শতাংশ ডিএ আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”
❤ Support Us