Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • আগস্ট ৭, ২০২৪

হিংসার আগুনের গ্রাসে সঙ্গীতশিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়ি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
হিংসার আগুনের গ্রাসে সঙ্গীতশিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়ি

হিংসার গ্রাসে সঙ্গীতশিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়ি । বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে শুরু থেকেই সক্রিয়ভাবে পাশে ছিলেন রাহুল আনন্দ এবং তাঁর ব্যান্ড জলের গানের সদস্যরা । বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ঢীকীর রবীন্দ্র সরোবরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ছাত্র হত্যার । এবার হাসিনা সরকারের পতনের পর, সোমবার দুর্বৃত্তরা তার বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে । নষ্ট করা হয়েছে বাদ্যযন্ত্র । করা হয়েছে লুঠপাঠ ।

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিতেই থাকতেন রাহুল আনন্দ ও তাঁর পরিবার । এটা শুধু তাঁদের বাসভবন নয়, জলের গান তাদের ফেসবুক পেজে লিখেছে, ‘এই বাড়িটি শুধু রাহুল আনন্দের বসত বাড়ি ছিল না; ছিল পুরো দলটির স্বপ্নধাম, আনন্দপুর । যেখানে তৈরি হয়েছে কত গান, কত সু্র, আর দাদার ভাবনাপ্রসূত শত শত বাদ্যযন্ত্র ।’ রাহুলের বাসভবনে বসে রেকর্ড করা শেষ গানটিও দলের তরফে পোস্ট করা হয়েছে । জানিয়েছে, বাংলাদেশের উত্তাল সময়েও তাঁরা একাত্ম ছিলেন গানে গানে ।

জলের গানের অফিশিয়াল স্টুডিও হিসেবেও ব্যবহৃত হত বাড়িটি । আগুনে বাদ্যযন্ত্র, গানের নথিপত্রের পাশাপাশি আসবাবপত্রও সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে । ১৩ বছরের পুত্র এবং স্ত্রীকে নিয়ে কোনমতে প্রাণে বেঁচেছেন রাহুল আনন্দ ।

বাংলাদেশের এই অরাজকতা, হত্যালীলার মাঝেই ‘জলের গান’-এর বক্তব্য, ‘এই বাদ্যযন্ত্র, গান বা সাজানো সংসার হয়তো আমরা দীর্ঘ সময় নিয়ে আবার গড়ে নিতে পারবো । কিন্তু, এই ক্রোধ আর প্রতিহিংসার আগুনকে নেভাবো কিভাবে ! কেন আমরা ভালবাসা আর প্রেম দিয়ে সবকিছু জয় করে নিতে পারি না ? যেই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখি, সেই স্বাধীনতার রক্ষায় যদি একইভাবে এগিয়ে আসতে ব্যর্থ হই, তাহলে চরম নিরাশা । ধ্বংসলীলার পর রাহুল আনন্দ সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, ‘ আমি তো মানুষের জন্যই গান করি । তবুও তারা আমার সব বাদ্যযন্ত্রগুলো পুড়িয়ে দিল ।’

এই হামলার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে, ঢাকার জাতীয় নাট্যশালার সামনে বিক্ষোভ করবেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিকর্মীরা ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!