- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- অক্টোবর ২৯, ২০২৪
ঘরের মাঠে রনজিতে কেরলের বিরুদ্ধেও ১ পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাংলাকে

ঘরের মাঠে বিহার ও কেরলের বিরুদ্ধে পুরো পয়েন্ট তুলে নেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলা। অথচ দুটি ম্যাচেই ১ পয়েন্ট করে নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বঙ্গ ব্রিগেডকে। যদি শেষ পর্যন্ত বাংলা নক আউটের ছাড়পত্র না পায়, বৃষ্টিই ভিলেন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, বিহার ও কেরল ম্যাচে বাংলার সামনে বাধা সৃষ্টি করেছে বৃষ্টি। মাঠ ভেজা থাকায় কল্যানীতে বাংলা–বিহার ম্যাচে একবলও খেলা হয়নি। আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠে দেড় দিন শুরু করা যায়নি।
‘দানা’–র জন্য কল্যানী থেকে বাংলা–কেরল রনজি ম্যাচ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়ে। পুরো মাঠ ঢাকা সত্ত্বেও ভেজা আউটফিল্ডের জন্য প্রথম দিন খেলা শুরু করাই যায়নি। দ্বিতীয় দিন চা–পানের বিরতির পর খেলা শুরু হয়। ঈশান পোড়েলের দাপটে ৪ উইকেট হারিয়ে কেরল তুলেছিল ৫১। তৃতীয় দিন সকালেই ঈশানের ধাক্কায় আবার বিপর্যয়ে পড়ে কেরল। একসময় ৮৬ রানে ৬ উইকেট হারায়।
এই সময় কেরলকে দ্রুত গুটিয়ে ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করার পরিকল্পনা ছিল বাংলার। কিন্তু বাংলার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান জলজ সাক্সেনা ও সলমান নিজার। দুজনের জুটিতে তোলা ১৪০ রান বাংলার স্বপ্নে জল ঢেলে দেন। ৮৪ রান করে আউট হন জলজ। তৃতীয় দিনের শেষে কেরল তোলে ৭ উইকেটে ২৬৭। চতুর্থ দিন সকালে কেরলকে দ্রুত আউট করার সুযোগ ছিল বাংলার সামনে। কিন্তু বোলাররা দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ। সলমান নিজার ও আজহারউদ্দিনের জুটি বাংলাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৯ উইকেটে ৩৫৬ রান তুলে ইনিংস সমাপ্তি ঘোষণা করে কেরল। ৯৫ রান করে অপরাজিত থাকেন সলমান। ৮৪ রান করে আউট হন আজহারউদ্দিন। ১০৩ রানে ৬ উইকেট নেন ঈশান পোড়েল।
কেরল এমন সময় ইনিংস সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল, তখন বাংলার টি২০ খেললেও কেরলের রান টপকে যেতে পারত না। চতুর্থ দিন শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে ১৮১ রান তোলে বাংলা। রনজি অভিষেকে ৬৭ রান করে নজর কাড়েন শুভম দাস। তবে আর এক অভিষেককারী অভিলিন ঘোষ মাত্র ৪ রান করে আউট হন। সুদীপ চ্যাটার্জি করেন ৫৭। সুদীপ ঘরামি ৩১ ও অনুষ্টুপ মজুমদার ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
❤ Support Us