Advertisement
  • এই মুহূর্তে
  • জুন ৪, ২০২২

ডুডল দিয়ে বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে শ্রদ্ধা গুগলের

সত্যেন্দ্রনাথ বসু তাঁর কোয়ান্টাম ফর্মুলেশনগুলি অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের কাছে পাঠিয়েছিলেন। তিনি এটিকে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ডুডল দিয়ে বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে শ্রদ্ধা গুগলের

শনিবার ডুডলের মাধ্যমে ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে শ্রদ্ধা জানাল গুগল । বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেটে তাঁর অবদান একটি ডুডলের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছে ।

সত্যেন্দ্রনাথ বসু ছেলেবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে বিজ্ঞানের স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়েছিলেন । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। উভয় ডিগ্রিতেই তিনি তাঁর ক্লাসে প্রথম স্থানাধিকারী ছিলেন ।

১৯১৭ সাল নাগাদ সত্যেন্দ্রনাথ বসু পদার্থবিদ্যায় অধ্যাপনা শুরু করেছিলেন । স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের প্ল্যাঙ্কের বিকিরণ সূত্র শেখানোর সময় তিনি পার্টিকেল গণনা করার পদ্ধতিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন । এরপর তাঁর নিজস্ব তত্ত্ব নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন ।
তিনি ‘প্ল্যাঙ্কস ল অ্যান্ড দ্য হাইপোথিসিস অফ লাইট কোয়ান্টা’ নামে এক গবেষণায় তাঁর ফলাফলগুলি প্রকাশ করেছিলেন। এটি ‘দ্য ফিলোসফিক্যাল ম্যাগাজিন’ নামের বিশিষ্ট বিজ্ঞান জার্নালে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর গবেষণা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ওই জার্নাল। এরপর তিনি গবেষণাপত্রটি সরাসরি আলবার্ট আইনস্টাইনের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

আইনস্টাইন এই আবিষ্কারের তাৎপর্য উপলব্ধি করেছিলেন । শীঘ্রই তাঁর সূত্রটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছিলেন । সত্যেন্দ্রনাথ বসুর এই থিওরি পেপারটি কোয়ান্টাম তত্ত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলির মধ্যে একটি । আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে যৌথভাবে এটি বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান হিসাবে পরিচিত। ‘বোস পরিসংখ্যান’-কে মেনে চলা কণার শ্রেণি, ‘বোসন’ নামে পরিচিত হয়। বিজ্ঞানী পল ডিরাক এই নামকরণ করেছিলেন।

পদার্থবিজ্ঞানে তাঁর অসীম অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ভারত সরকার সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে পদ্মবিভূষণে ভূষিত করেন । তাঁকে ‘ন্যাশানাল প্রফেসর’ সম্মানও দেওয়া হয়।

সত্যেন্দ্রনাথ বসু ইন্ডিয়ান ফিজিক্যাল সোসাইটি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট-সহ বহু নামজাদা বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন । তিনি বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন । পরে রয়্যাল সোসাইটির ফেলো হয়েছিলেন ।


❤ Support Us
error: Content is protected !!