Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • নভেম্বর ৭, ২০২৩

থাপ্পড় মামলায় যোগী সরকারকে সুপ্রিম নির্দেশ, মুজাফফরনগরের ছাত্রকে অবিলম্বে ফেরানো হোক স্কুলে

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
থাপ্পড় মামলায় যোগী সরকারকে সুপ্রিম নির্দেশ, মুজাফফরনগরের ছাত্রকে অবিলম্বে ফেরানো হোক স্কুলে

সুপ্রিম কোর্টে সোমবার মুজাফফরনগরের এক স্কুলে এক ছাত্রকে থাপ্পড় মারার মামলার শুনানি হয়েছে। শীর্ষ আদালত উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নিশ্চিত করতে বলেছে যে একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিক যেন ওই স্কুলের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে সেখানে ভর্তির ব্যবস্থা করে,  যেখানে থাপ্পড় খাওয়া শিশুটির বাবা তাকে ভর্তি করাতে আগ্রহী। আদালত রাজ্য সরকারকে এটাও জানতে চেয়েছে যে ওই প্রাইভেট স্কুলে থাপ্পড় খাওয়া ছাত্রটির ভর্তির সুবিধার্থে প্রস্তাবিত কমিটির কী প্রয়োজন ছিল এবং কমিটি কী ব্যবস্থা নিয়েছে।

মুজাফফরনগরের এই স্কুলের এক সংখ্যালঘু ছাত্রকে অন্য ছাত্রদের দিয়ে গালে থাপ্পড় মারার নির্দেশ দিচ্ছেন স্কুলের শিক্ষিকা, এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর সারা দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছিলেন, অভিভাবকরাই তাঁকে বলেছেন ছাত্রদের দুষ্টুমি কমানোর জন্য স্কুলের তরফে যেন একটু কড়া পদক্ষেপ করা হয়, এমননকি অভিভাবকরা ছাত্রদের প্রহার করতেও কেউ কেউ বলেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন ওই অভিযুক্ত শিক্ষিকা। বিচারপতি অভয় এস. ওকা এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চ গত আগস্টে মুজাফফরনগরে ওই স্কুলের ঘটনার সঠিক তদন্ত চেয়ে সমাজকর্মী তুষার গান্ধির দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা করেন।  মামলার শুনানি চলাকালীন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কে.এম. নটরাজ, সরকারের পক্ষে উপস্থিত হয়ে আদালতকে জানান যে তদন্ত শেষ হয়েছে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা 295A অর্থাৎ ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় বিশ্বাসের অবমাননা এবং জুভেনাইল জাস্টিস অর্থাৎ  শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা আইন, ২০১৫-র অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বলেছেন, “295A ধারার অধীনে বিচারের জন্য আমরা সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। বেঞ্চ তখন সরকারকে অবিলম্বে 295A ধারার অধীনে পূর্ব অনুমোদনের আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলে। ৩০ অক্টোবর, আদালত এই ঘটনায় রাজ্য শিক্ষা দফতরের প্রতিক্রিয়া না দাখিল করায় বিরক্তি প্রকাশ করেছিল।

আদালত রাজ্য সরকারকে এফআইআর-এ থাকা অভিযোগগুলির তদন্ত করার জন্য একজন সিনিয়র আইপিএস আধিকারিককে নিযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। বেঞ্চ শুনানিতে মন্তব্য করেছিল,  “কোনও শিক্ষার্থীকে যদি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে শাস্তি পেতে হয় তবে সেই শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং সেই  শিক্ষা প্রকৃত শিক্ষা হতে পারে না।”

সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিআইএল এই ঘটনার একটি সময়সীমাবদ্ধ এবং স্বাধীন তদন্তের নির্দেশনা চেয়েছে এবং স্কুলে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ছাত্রদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য নির্দেশিকা তৈরি করেছে। শনিবার শিক্ষা দফতরের দায়ের করা হলফনামা বেঞ্চ বিবেচনা করতে না পারায় শুনানি শুক্রবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!