- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- মে ১৯, ২০২৪
খাদ্যে বাড়ছে অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার, খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরকে নোটিশ পাঠালো শীর্ষ আদালত

খাদ্য শস্য ,খাদ্য সামগ্রীতে কীটনাশক এবং অন্যান্য রাসায়নিকের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া(এফএসএসএআই)-র কাছে মতামত চেয়ে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে।
ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের একটি বেঞ্চ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, কৃষি মন্ত্রক এবং এফএসএসএআই-র উদ্দেশ্যে এই নোটিশটি জারি করেছে।
পরিবেশবিদ ও আইনজীবী আকাশ বশিষ্ঠ এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, খাদ্য শস্য ও খাদ্য সামগ্রীতে কীটনাশকের মাত্রা ছাড়া ব্যবহার দেশে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ এবং অন্যান্য ব্যাধির প্রকোপ বৃদ্ধি করছে। শুধু কীটনাশকই নয় , খাদ্যে ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিক, কৃত্রিম রঙের ব্যবহার, কৃত্রিম রাসায়নিক আস্তরণ এই সমস্ত কিছুতে দেশে মারণ রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।এক্ষেত্রে ২০১৫-১৬সালে এফএসএসএআই ডেটা উল্লেখ করে আবেদনে বলা হয়েছে যে গবেষণা করে ৭২৪৯৯টি খাবারের নমুনার মধ্যে ১৬১৩৩টি ভেজাল বা ভুল ব্র্যান্ডেড সামগ্রী দেশের বাজার থেকে মিলেছে।
এই বিষয়ে পিটিশনারের আইনজীবী অনিতা স্যানয় এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন যে, তাঁর মক্কেল সারা দেশ থেকে এই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তিনি দেখেছেন যে, মারণ রোগে কত শত দেশবাসী প্রতিদিন মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছেন, যার পিছনে অনেকাংশেই দায়ী খাদ্যে ব্যবহৃত মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক , রাসায়নিক রঙ প্রভৃতি। অনিতা স্যানয় এক্ষেত্রে আদালতকে জানিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণরূপে এফএসএসএআই-এর গাফিলতি যে তারা খাদ্যে সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তারা কীটনাশক এবং রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। কীটনাশক এবং ক্যান্সারের মধ্যে একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। এবং এই সম্পর্কের জন্য দেশে কর্কট রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন ধাপে ধাপে বাড়ছে।
❤ Support Us