- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
উপকূলরক্ষী বাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী কমিশন না দেওয়ায় কেন্দ্রকে তুলোধোনা সুপ্রিম কোর্টের
কথায় আর কাজে মিল নেই নরেন্দ্র মোদি সরকারের। মুখে নারীশক্তির কথা শোনা যায়। অথচ বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন নেই। উপকূলরক্ষী বাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী কমিশন না দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করল সুপ্রিম কোর্ট। সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে, উপকূলরক্ষী বাহিনীতে এমন নীতি তৈরি করতে হবে যাতে মহিলাদের সঙ্গে নিরপেক্ষ আচরণ করা হবে।
উফকূলরক্ষী বাহিনীর মহিলা অফিসার প্রিয়াঙ্কা ত্যাগী ‘শর্ট সার্ভিস কমিশন’–এ নিযুক্ত যোগ্য মহিলা অফিসারদের ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীতে ‘স্থায়ী কমিশন’ প্রদান করার আর্জি জানিয়ে মামলা করেন। সেই মামলার শুনানিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বিক্রমজিৎ ব্যানার্জির যুক্তির জবাবে বলে, ‘আপনারা (কেন্দ্র সরকার) নারীদের কথা, নারী শক্তির কথা বলেন। এখন এটা করে দেখান। এক্ষেত্রে আপনারা সমুদ্রের একেবারে কিনারায় আছেন। আপনাদের অবশ্যই এমন নীতি তৈরি করতে হবে, যেখানে মহিলাদের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে আচরণ করা হবে। আপনারা কেন এত পুরুষতান্ত্রিক? কোস্ট গার্ড সেক্টরে মহিলাদের দেখতে চান না? কোস্ট গার্ডের প্রতি আপনাদের উদাসীন মনোভাব কেন?’
তিন সদস্যের বেঞ্চ আরও বলে, ‘আমরা পুরো ক্যানভাসটি খুলব। সেই দিন চলে গেছে, যখন বলা হয়েছিল যে মহিলারা কোস্ট গার্ডে থাকতে পারবেন না। মহিলারা যদি সীমান্ত রক্ষা করতে পারেন, তাহলে উপকূল রক্ষা করতে পারবে।’ ২০২০২ সালের রায়ে, আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে সেনাবাহিনীতে মহিলা অফিসারদের স্থায়ী কমিশন দেওয়া হবে। প্রিয়াঙ্কা ত্যাগী উপকূলরক্ষী বাহিনীর প্রথম মহিলা ক্রু, যাকে ডর্নিয়ার বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। তিনি স্থায়ী কমিশনের জন্য পুরুষ কর্তাদের সমতা চেয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা ত্যাগীকে স্থায়ী কমিশনে বিবেচনা না করায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি আদালতের কাছে আবেদনে বলেন, সেনাবাহিনীতে যেমন নারীদের পদোন্নতি দেওয়া উচিত এবং কোস্ট গার্ডে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার হওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
❤ Support Us