- এই মুহূর্তে দে । শ
- আগস্ট ২৯, ২০২৩
পাক চর ভক্তবংশীকে জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য, বালি ব্রিজ উড়িয়ে দেওয়ার ছক কষা হচ্ছিল

কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ পাক চরকে জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে। প্রথমে ভুয়ো সিম পাঠানো থেকে শুরু করে নানা নম্বর এবং ছবি পাঠিয়েছিল ধৃত পাক চর ভক্তবংশী ঝা। শেষমেশ বালি ব্রিজের ছবি তুলেছিল এই পাক চর। তার কারণ পাকিস্তান থেকে এই ছবি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। তাই ছবি তুলে পাকিস্তানে পাঠিয়েছে সে। ধৃতের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে সেই নথি মিলেছে বলে এসটিএফ সূত্রে জানা গেছে। হানিট্র্যাপে ফাঁদে ফেলা পাক তরুণীই তাকে এই ছবি পাঠাতে বলেছিল। জেরায় সে কথা স্বীকার করেছেন ভক্তবংশী।
চারদিন আগে রিপন স্ট্রিট থেকে এসটিএফ গ্রেফতার করে ভক্তবংশীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল তার মোবাইল ফোন। সেই ফোন ঘেঁটেই তদন্তকারীরা পাক তরুণীর সঙ্গে ভক্তবংশীর যোগাযোগ খুঁজে পায়। আর হোয়াটসঅ্যাপ ঘেঁটে নিয়মিত কথাবার্তার পাশাপাশি ভারতের সেনা ছাউনি, কোথায় কেমন ব্রিজ রয়েছে তার ছবি হাতে পান তদন্তকারীরা। নাশকতার জন্যই এই তথ্য সংগ্রহ করছিল আইএসআই, এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের। তারপরই জানা যায়, বালি ব্রিজকে উড়িয়ে দেওয়ার ছক কষেছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা। তাই এই ছবি সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর পর থেকে বালি ব্রিজের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে নয়াদিল্লিতে থাকার সময়ও নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ছবি তুলেছিল ভক্তবংশী ঝা। সেই ছবিগুলি পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। নয়াদিল্লির ক্যুরিয়ার কোম্পানিতে কাজ করার পাশাপাশি এই কাজ সে চালিয়ে যাচ্ছিল বলো জানা গেছে। সংস্থার কর্মীদের কাছ থেকেও নানা ব্রিজের তথ্য জোগাড় করত সে। তারপর ওই ব্রিজের কাছে গিয়ে ছবি তুলত। তার পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপের ছবি ‘রিট্রিভ’ করে দেখা যায় বালি ব্রিজের ছবি পাঠানো হয়েছিল। সেটি ওই পাক তরুণীর মোবাইল নম্বরেই পাঠানো হয়। আর তার নেপথ্য রয়েছে বালি ব্রিজ উড়িয়ে দেওয়ার ছক,এমনটাই ধারণা এসটিএফ-এর।
এসটিএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভক্তবংশী ঝা জেরায় স্বীকার করেছে, পাকিস্তান থেকে নির্দেশ এসেছিল কলকাতার নানা সেতুর ছবি পাঠাতে। সেই সেতুর নিরাপত্তা কেমন রয়েছে, তাও বিস্তারিত পাঠাতে বলা হয়েছিল ভক্তবংশী ঝা কে। হাওড়ায় থাকাকালীন ভক্তবংশী বালি ব্রিজের ছবি তোলে। আর পাঠিয়ে দেয় পাকিস্তানের তরুণীকে। ভক্তবংশী এখানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য পাঠিয়ে দিয়েছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছে। আগামী দিনে আরও বেশকিছু সেতুর ছবি পাঠানোর কথা ছিল ভক্তবংশীর। তবে এই ব্রিজে নাশকতার কোনও পরিকল্পনা ছিল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে জেরা করে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে গোয়েন্দারের অভিমত।
❤ Support Us