- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
১৮ বছরের বর্ণময় ফুটবল জীবনের সমাপ্তি, শিলটনকে সংবর্ধনা কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের

সম্প্রতি ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন শিলটন পাল। অবসান ঘটেছে দীর্ঘ ১৮ বছরের বর্ণময় ফুটবল জীবনের। সোমবার সদ্য প্রাক্তন এই গোলকিপারকে সম্মান জানাল কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব। তুলে দেওয়া হল স্মারক। হাজির ছিলেন শিলটনের স্ত্রী সায়ানা মণ্ডলও। কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের সংবর্ধনায় আপ্লুত শিলটন।
এদিন শিলটেনর হাত দিয়ে বিটিএ–সিএসজেসি ফুটবল স্কুলের নতুন জার্সিরও উদ্বোধন করা হয়। তিনিই খুদে শিক্ষার্থীদের হাতে জার্সি তুলে দেন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রাক্তন মহিলা ফুটবলার ও বিটিএ–সিএসজেসি ফুটবল স্কুলের হেড কোচ শান্তি মল্লিকও। এদিন শিলটন পালের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে নিজের ফুটবলজীবনের কাহিনী তুলে ধরেন শিলটন। ছোটবেলায় বাবা–মা’র হাত ধরে মাঠে যাওয়া, মছলন্দপুর থেকে কলকাতায় অনুশীলনে আসা, টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে সুযোগ পাওয়ার কথা খুদে ফুটবলারদের শোনান এই প্রাক্তন গোলকিপার।
বাংলার ফুটবলের সেরা সময় ফিরিয়ে আনার ওপরও জোর দেন শিলটন পাল। আপাতত কোচিংয়ে আসার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে ফুটবলের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকতে চান। তিনি বলেন, ‘খেলা ছেড়ে দিলেও আমি ফুটবলের সঙ্গেই থাকব। এখনই কোচ হওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে মাঠের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে চাই।’ বিটিএ–সিএসজেসি ফুটবল স্কুলেরও পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন শিলটন। বলেন, ‘যখনই ডাকবেন, আমাকে পাবেন।’ স্ত্রী সায়ানা মণ্ডল আরও বছর দুয়েক খেলার কথা বলেছিলেন। কিন্তু শিলটন মনে করেন সঠিক সময়েই তিনি অবসর নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলছে আরও কিছুদিন খেলা উচিত ছিল। আমার মনে হয় সঠিক সময়েই অবসর নিয়েছি।’
শিলটনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, একসময় ভারতীয় ফুটবলে বাংলার গোলকিপাররা রাজত্ব করেছেন। এখন আর সেভাবে বাংলা থেকে গোলকিপার উঠে আসছে না কেন? এর উত্তরে শিলটন বলেন, ‘শুধু গোলকিপারই নয়, আইএসএলে বাংলার ফুটবলারই কমে গেছে। প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাস, শুভাশিস বসু, শৌভিক চক্রবর্তী, রহিম আলির মতো হাতে গোনা কয়েকজন ফুটবলার খেলছে। কলকাতার দলে মাত্র দু’একজন বাঙালি ফুটবলার রয়েছে। বাংলার ফুটবলারদের বাংলার ক্লাবে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। যাদের দেখে বাংলার খুদে ফুটবলাররা অনুপ্রানিত হবে। বাঙালিরা আশিক কুরুনিয়ান কিংবা অন্য ফুটবলারদের দেখে অনুপ্রানিত হবে না, বাংলার ফুটবলারদের দেখেই অনুপ্রানিত হবে।’
❤ Support Us