Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মার্চ ২১, ২০২৫

পানিহাটির নতুন পুরপ্রধান সোমনাথ দে, অধিবেশনে গড়হাজির পদত্যাগী মলয় রায়

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পানিহাটির নতুন পুরপ্রধান সোমনাথ দে, অধিবেশনে গড়হাজির পদত্যাগী মলয় রায়

জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে পানিহাটির নতুন পুরপ্রধান নির্বাচিত হলেন ১৭ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমনাথ রায়। অধিবেশনে অনুপস্থিত সদ্য পদত্যাগী মলয় রায়। প্রাক্তন পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই বদল বলে জানা যাচ্ছে।

পানিহাটি পৌরসভার নতুন চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূল কাউন্সিলর সোমনাথ দে। তিনি ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নতুন পুরপ্রধান বেছে নিতে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বৈঠকে বসেছিলেন পানিহাটির সব কাউন্সিলররা। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভায় শাসকদলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। বৈঠকে উপস্থিত ৩২ জন কাউন্সিলর নয়া পুরপ্রধান হিসাবে সোমনাথের নামে সম্মতি জানান।তবে অধিবেশনে অনুপস্থিত সদ্য পদত্যাগী মলয় রায়। যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। যদি তিনি জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি বৈঠকে যাননি। প্রাক্তন পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই বদল বলে জানা যাচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্মল ঘোষকে নির্দেশ দেন যে, পরবর্তী পুরপ্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া যেন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়। সেই নির্দেশনার পরেই কাউন্সিলর এবং মহকুমা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে সকলের সম্মতিতে সোমনাথ দে-র নাম চূড়ান্ত হয়। তবে, বিদায়ী চেয়ারম্যান ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। সম্প্রতি, স্থানীয় ‘অমরাবতী মাঠ’ এর বড় অংশ আবাসন প্রকল্পের জন্য বিক্রি করার পরিকল্পনা নিয়ে একটি তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়, যা প্রাক্তন পুরপ্রধান মলয় রায়ের সাথে জড়িত। পরিস্থিতি জটিল হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন। মলয়কে পদত্যাগ করতে বলা হলেও, দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে তিনি পদত্যাগ করতে রাজি ছিলেন না। পরে, ফিরহাদ হাকিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভের কথা জানিয়ে মলয়কে সতর্ক করেন, এরপরই গত ১৩ মার্চ ব্যারাকপুর মহুকুমা শাসকের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। তার পরেও বিদ্রোহ থামায়নি মলয়। বলেছিলেন ‘খেলা হবে’, যা নিয়ে রীতিমতো তেতে উঠেছিল পানিহাটির রাজনীতি।

২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সোমনাথ দে পানিহাটির উপ পুরপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরেই তিনি পানিহাটির অমরাবতী মাঠ নিয়ে মুখ খুলে বলেন, ‘অমরাবতী মাঠ আমাদের শহরের ফুসফুস, যা রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।’ আগের পুর পারিষদদের নিয়েই দ্রুত কাজ শুরু করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, মলয়ের পদত্যাগের পেছনে মূলত এই অমরাবতী মাঠ সম্পর্কিত বিতর্ক ছিল। অভিযোগ ওঠে যে, মলয় অবৈধভাবে অমরাবতী মাঠ বিক্রি করার চেষ্টা করেছিলেন। একই সঙ্গে, পুরসভার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে চাঁদা তোলার অভিযোগও উঠেছিল মলয়ের নেতৃত্বাধীন পুর-প্রশাসনের বিরুদ্ধে। উল্লেখযোগ্যভাবে, সদ্য নির্বাচিত পুরপ্রধানের সোমনাথের বিরুদ্ধে আরজি কর হাসপাতালকে নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন, বাড়িতে দেহ নিয়ে ঢোকার সময় পর্যন্ত ওই কাউন্সিলরের দেখা মেলেনি। অথচ ঘটনার দিন বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও সোমনাথ দে, দীর্ঘ সময় ধরে আরজি কর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সাথে বৈঠক করেছিলেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!