নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে নয়া মোড়, ‘এসএসসির সার্ভার থেকেই মিলেছে অযোগ্যদের তালিকা’, দাবি সিবিআইয়ের

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড় । সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, চাকরি চুরির ইমেলের কপি উদ্ধার করেছে সিবিআই। সেটি মিলেছে এসএসসির সার্ভার থেকেই। সেই কপিতে নাকি দেখা যাচ্ছে, স্কুল শিক্ষা কমিশন মেলের মাধ্যমে ‘নায়সা’-র হাতে একটি তালিকা তুলে দিয়েছে ।যেখানে নির্দেশ দেওয়া আছে, কাদের কাদের নম্বর বাড়াতে হবে।

জানা যাচ্ছে ইমেল করা হয়েছিল নায়সা কর্তা নীলাদ্রি দাস, প্রাক্তন কর্তা পঙ্কজ বনশল ও  এক কর্মী মুজাম্মিল হোসেনকে। ইতিমধ্যেই সিবিআই জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরের মাধ্যমে ২০১৬ প্যানেলের বহু শিক্ষক ও স্কুলকর্মীদের নথি সহ  তলব করেছে নিজাম প্যালেসে।বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল টিভি৯ এর দাবি তাঁরা পেয়েছেন সেই নির্দেশের কপি। যা নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সবির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ, ২০১৬ সালে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দ্বাদশে নিয়োগ পাওয়া এসএসসি চাকরিপ্রাপকদের পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। এই প্রসঙ্গে উচ্চ আদালত বলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি বৈধ হতে পারে না।  চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রাপ্ত বেতনের ওপর ১২ শতাংশ হারে সুদসহ পুরো বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। পরে ২৪ এপ্রিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। যদিও সেই মামলার এখনও চূড়ান্ত রায়দান সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের  বেঞ্চ এই দুর্নীতির ব্যাপারে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে ও সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে ।

এসএসসি দাবি করে, ২৫,৭৫৩  চাকরিপ্রাপকদের মধ্যে কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য সেই তালিকা তারা দিতে পারবে। সেই মতো অবৈধভাবে নিযুক্ত ৪৫৯৯ জনের তালিকা আদালতের হাতে তুলে দিয়েছিল এসএসসি। আজ সিবিআই দাবি করেছে তাদের হাতে এসএসসির সার্ভার থেকে প্রাপ্ত ওই কপিতে অনেকেরই নাম দেখা যাচ্ছে। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল। সিবিআইয়ের এই দাবির পরে সেই যজ্ঞে ঘৃতাহুতি হয় কিনা সেটাই দেখার। পাশাপাশি অপেক্ষায় আছেন বাতিল প্যানেলে থাকা ‘যোগ্য’-রাও ।