- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩
শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করছেন “জেমস বন্ড” রাজ্যপাল, সাংবাদিক বৈঠকে বললেন ব্রাত্য
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে বদ্ধ পরিকর রাজ্যপাল বোস। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে করলেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি এদিন বলেন ‘‘গত কয়েক মাস ধরেই আমাদের মনে হচ্ছিল রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল সুনির্দিষ্ট ভাবে কেন্দ্রের প্রতিনিধি হয়ে এসে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে বদ্ধ পরিকর ‘জেমস বন্ড’ রাজ্যপাল।’’
রবিবার রাত বারোটায় রাজভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করার পর ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্য বুঝিয়ে দিচ্ছে যে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব আরও বাড়ল।
ব্রাত্য বসু এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “মনে হচ্ছে কৃষ্ণ চন্দ্রের সভার সেরা বিদূষককে রাজ্যে কেন্দ্র পাঠিয়েছে বাংলার রাজ্যপাল করে।” উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই একের পর এক নির্দেশ জারি করা হয়েছে রাজ ভবনের তরফে। এ ব্যাপারে এযাবৎ কোনও মন্তব্য করা হয়নি রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে। তবে সরাসরি সোমবার মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী। আর প্রথমেই আক্রমণ করলেন রাজ্যপালকে।
এদিন রাজ্যপালকে সরাসরি আক্রমণ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘কখনও তিনি উপাচার্য, কখনও উপাচার্য, কখনও উচ্চশিক্ষা দফতর। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে, তাঁকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে, নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করে উচ্চ শিক্ষা দফতরকে বাইপাস করে একতরফা ভাবে উপাচার্য নিয়োগ করে দিচ্ছেন। তিনি সেই উপাচার্যদের তিরস্কার করছেন যারা রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক করে চলছেন। এ যেন একটা ঝাড়ফুঁকের কাজকর্ম চলছে যাকে সম্পূর্ণ তালিবানি বলে মনে হচ্ছে। আদালতেই এর সমাধান হবে।’’
এদিকে এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “তৃণমূল যদি সংঘাত চায় হবে। তবে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও উপাচার্য নেই। শুধু টাকা চুরির কাজ চলছে। রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, তিনি তো এসব দেখে নীরব থাকতে পারেন না।”
❤ Support Us