- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ৮, ২০২৩
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট, “অস্বস্তি” বাড়ল অভিষেকের
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট, ফলে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে “অস্বস্তি” বাড়ল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে কোনও হস্তক্ষেপ নয়। তবে ইডিকে আইন মেনে কাজ করতে হবে। আইনের বাইরে কিছু করা যাবে না।
শুক্রবার অভিষেকের আবেদন খারিজ করে দেয় বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ। সঙ্গে সঙ্গে মামলাটি নিষ্পত্তিও করে দেওয়া হয়।
বিচারপতি অমৃতা সিনহার একাধিক নির্দেশের ফলে তাঁর অধিকার এবং স্বার্থে প্রভাব পড়ছে বলে আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের বক্তব্য ছিল, সিঙ্গল বেঞ্চ তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ করছে। অভিষেক, তাঁর পরিবার এবং লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির বিরুদ্ধে ইডিকে নির্দিষ্ট করে নির্দেশ দিচ্ছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কম সময়ের ব্যবধানে প্রায় ১০ বছর আগের নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিতে বলা হয়েছে। আদালত তদন্তে “নজরদারি”র পরিবর্তে “তদারকি” করছে। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ অভিষেকের আবেদনে সাড়া দেয়নি। তারা তাঁকে তদন্তে সাহায্য করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, এত গুরুত্বপূর্ণ তদন্তে ইডি যে তথ্য এবং নথি চেয়েছে তা কোনও ভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। তদন্তের স্বার্থে তথ্য এবং নথি না দিলে তার প্রভাব সাংঘাতিক হতে পারে। এমনকি, এ নিয়ে জনসাধারণের মনে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
দুই বিচারপতির বেঞ্চ আরও জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চ নিজের এক্তিয়ার লঙ্ঘন করেনি। অভিষেক ওই কোম্পানিতে দু’বছর ডিরেক্টর ছিলেন। বর্তমানে অভিষেক কোম্পানির সিইও। তিনি এক জন সাংসদও। ফলে তথ্য এবং নথি প্রকাশ করলে তাতে অসুবিধার কিছু হবে না বলে মনে করে আদালত। তাই সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মতো অভিষেকের জমা দেওয়া সব নথি খতিয়ে দেখবে ইডি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের এই অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর আইনজীবী শীর্ষ আদালতে জানান, আদালতের “নজরদারি”তে তদন্ত চলছে। কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের একক বেঞ্চ তদন্তপ্রক্রিয়ায় “তদারকি” করছে বলে দাবি করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে। সর্বোচ্চ আদালতে অভিষেকের তরফে বলা হয়, একক বেঞ্চ এক বার ইডি অফিসারকে বদল করছে, আবার তাঁকে ফিরিয়ে আনছে। তদন্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা-মাকেও জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানান অভিষেকের আইনজীবী। তবে সব কিছু শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত। আইনের বাইরে কেউ নয়। ইএদিকেও আইন মেনেই তদন্ত করতে হবে। এবার প্রশ্ন , আবার কি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি তলব করবে?
❤ Support Us