Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

সুন্দরবনের বাঁশের চাহিদা মেটাতে ভরসা বসিরহাট, বাদুড়িয়ার বাঁশ।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সুন্দরবনের বাঁশের চাহিদা মেটাতে ভরসা বসিরহাট, বাদুড়িয়ার বাঁশ।

সুন্দরবনের এলাকার নদী বাঁধ হোক, আর ঘরের ছাউনি কিংবা পুজোর প্যান্ডেল হোক বাঁশের চাহিদা এখন তুঙ্গে। এবং চাহিদা মেটাতে ভরসা উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, বাদুড়িয়া এলাকার বাঁশ। সারা বছর সুন্দরবন এলাকার বাঁশের জোগান দিয়ে আসছেন বাদুড়িয়ার বাঁশের কারবারিরা। শীত,গ্রীষ্ম, বর্ষা ঋতুতেই ইছামতী নদীতে বাঁশ নিয়ে যেতে দেখা মিলবে ওদের। নদীমাতৃক সুন্দরবন এলাকায় নদী বাঁধ রক্ষায় বড় ভূমিকা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাঁশ ব্যবসায়ীদের। শুধু বাদুড়িয়া নয়, বসিরহাটের দন্ডিরহাট, ধলতিথা, বাগুন্ডি, নৈহাটি গ্রাম থেকেও বাঁশ সরবরাহ করা হয় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপে।
সুন্দরবনের মাটি মূলত লবনাক্ত। এখানে লবনাম্বু উদ্ভিদই জন্মায়। সেকারণে এখানে বাঁশ গাছ জন্মায় না বললেই চলে। কিন্তু গ্রামীণ এলাকায় দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বাঁশ একটি প্রয়োজনীয় সামগ্রী। ঘর তৈরির খুঁটি, ছাউনি, বেড়া তো আছেই, মেছোঘেরিতে বাঁশের কঞ্চি থেকে শুরু করে আস্ত বাঁশ সবসময় দরকার হয়। তাছাড়া নদী বাঁধে ভাঙন তো লেগেই আছে। বাঁধের ভাঙন রোধে বাঁশের খাঁচা একটি বড় হাতিয়ার। কিন্তু বিপুল পরিমান বাঁশ সুন্দরবনের গ্রামে মেলে না। তাই বসিরহাট, বাদুড়িয়ার গ্রাম থেকে সরবরাহ করা বাঁশের ওপর ভরসা করতে হয় দুই ২৪ পরগনার সুন্দরবনে এলাকার মানুষের।
বাদুড়িয়া খোড়গাছি শ্মশান সংলগ্ন এলাকায় ইছামতীর তীরে সাজানো হাজার হাজার বাঁশ। নদীতে বাঁধা নৌকায় বোঝাই করা বাঁশ। সকাল থেকে ইঞ্জিন চালিত ভ্যানে করে শয়ে শয়ে বাঁশ নিয়ে আসা হচ্ছে নদীর চরে । কোথায় যাবে এই বাঁশ?‌ তিন পুরুশের বাঁশের কারবারি ভোলানাথ নাথ বললেন, ‘‌বংশ পরম্পরায় বাঁশের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন । কারবারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বাদুড়িয়া , স্বরূপনগর প্রভৃতি এলাকা থেকে কারবারীরা ১০০–‌১২০ টাকায় এক একটি বাঁশ কিনে নেন। সে গুলিকে ঝাড় থেকে কেটে ইঞ্জিন ভ্যানে চাপিয়ে নিয়ে আসা হয় বাদুড়িয়ার খোড়গাছি শ্মশান সংলগ্ন ইছামতীর চরে । সেখান থেকে যন্ত্র চালিত নৌকায় করে নদী পথে দিন চারেকের চেষ্টায় বাঁশ গুলি নিয়ে যাওয়া হয় সুন্দরবনের গোসবা, রামপুর, ক্যানিং, সন্দেশখালির বিভিন্ন হাটে । সেখানে বিক্রী হয় এক একটি বাঁশ ১৫০-৩০০ টাকা দরে। পুজোর আগে প্যান্ডেল তৈরির জন্য চাহিদা এবং দাম দুটোই বেড়ে যায়।
নদীবাঁধ সংস্কার ও সুন্দরবনের জঙ্গল ঘেরার কাজের সময় বাঁশের চাহিদা বাড়ে । কেন বাদুড়িয়া থেকে সুন্দরবন এলাকায় বাঁশ নিয়ে যাওয়া হয় সে প্রশ্নের উত্তরে বাদুড়িয়ার পোলতার বাসিন্দা বাঁশ ব্যবসায়ী বাবলু নাথ বলেন, সুন্দরবন এলাকায় নোনা মাটিতে বাঁশের চাষ হয়না । আর সে কারনেই বাদুড়িয়া, স্বরূপনগর এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়া বাঁশের চাহিদা বেশি । বাঁশের ব্যবসায়ী ভোলানাথ নাথ বলেন, বাপ ঠাকুরদার সময় থেকে এই ব্যবসা চলছে। সারা বছরই বাঁশের চাহিদা থাকে। তবে বর্ষার মরসুমে সুন্দরবন এলাকায় বাঁশের চাহিদা বাড়ে। এক একটি নৌকায় ৪৫০-৫০০ বাঁশ নিয়ে যাওয়া হয়। আবার নদীতে ভাসিয়ে বাঁশ যায় বসিরহাট, বাদুড়িয়া থেকে। ‌‌‌


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!