Advertisement
  • দে । শ
  • মে ১১, ২০২৪

কলকাতার মুকুটে নতুন পালক ‘ব্লু প্লাক’-এ সম্মানিত ঐতিহ্যবাহী গ্র্যান্ড হোটেল

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কলকাতার মুকুটে নতুন পালক ‘ব্লু প্লাক’-এ সম্মানিত ঐতিহ্যবাহী গ্র্যান্ড হোটেল

কলকাতা শহরের হৃদপিণ্ড ধর্মতলা। দেখেছে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সাক্ষী থেকেছে অনেক পালাবদলের। সেই ধর্মতলা অর্থাৎ এসপ্ল্যানেডের বুকে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহ্যবাহী ‘গ্র্যান্ড হোটেল’, বর্তমানে যার নাম ওবেরয় গ্র্যান্ড। বহু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী  সেই হোটেলের শিরোপায় যুক্ত হল ‘ব্লু প্লাক’। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট এন্ড কালচারের মতে ভারতের বুকে প্রথমবার কোনো হোটেলের এই সম্মান প্রাপ্তি ঘটল।এখনও পর্যন্ত এই সম্মান প্রাপক বিশ্বের ৫০টি হোটেল।

গ্র্যান্ড হোটেল শুধুমাত্র একটি হোটেল নয়, কলকাতা শহরের ইতিহাস এর কাছে এসে একবার হলেও থমকে দাঁড়াবে। ইটালিয়ান গথিক স্থাপত্যে তৈরি ব্রিটিশদের এক সময়ের স্বপ্ননগরী কলকাতার আভিজাত্যের সংজ্ঞা ছিল এই হোটেল। কিন্তু প্রথমে এর ইতিহাস এমনটা ছিল না।

পিছন ফিরে তাকাতে হবে অষ্টাদশ শতকের দিকে, তখন সবেমাত্র কলকাতা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত ধরে সেজে উঠছে। জঙ্গল কেটে সুতানুটি , গোবিন্দপুর, কলকাতা এই তিন মৌজা তখন অভিজাত বংশীয় এবং কোম্পানির সাহেবদের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করছে ভিন্নভাবে।গ্র্যান্ড হোটেল তখন ছিল তেমনই একজন কোম্পানির সেনাবাহিনীর কর্নেল গ্র্যান্ডের বসতবাড়ি। ঠিকানা ছিল ১৩ নং চৌরঙ্গি রোড।পরে কোনো কারণে তাঁর হাত থেকে হস্তান্তরিত হয়ে উনিশ শতকের প্রথমার্ধে তার মালকিন হন একজন আইরিশ মহিলা অ্যানি মঙ্ক। তিনি এটিকে বোর্ডিং হাউস হিসেবে ভাড়া দিতে শুরু করেন এবংতাঁর ব্যবসা প্রসারিত করার জন্য ১৪, ১৫ এবং ১৭ নম্বর বাড়ি  এই সম্পত্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৬ নম্বর চৌরঙ্গি একটি থিয়েটার এর দখলে ছিল যার মালিক এবং পরিচালক ছিলেন ইস্পাহান থেকে আসা  অ্যারাটুন স্টিফেন নামক একজন আর্মেনিয়ান। পরে তিনিই এটিকে আধুনিক হোটেলের রূপ দেন। কর্নেল গ্র্যান্ডের বসতবাড়ি তখন হয়ে ওঠে কলকাতার গর্ব ‘গ্র্যান্ড হোটেল।’

ওবেরয়দের নজরে এই সম্পত্তি আসে ১৯৩৮ সালে। তাঁদের উত্তরসূরি, বর্তমান কর্ণধার বিক্রম ওবেরয় গতকাল আবেগ মথিত কণ্ঠে বললেন,’এই ব্লু প্লাক শিরোপা অর্জন করে আজ আমরা গভীরভাবে সম্মানিত বোধ করছি।’

ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট এন্ড কালচারের কলকাতার আহ্বায়ক জি এম কাপুর বলেন, ১৮৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত ললিত গ্রেট ইস্টার্ন-এর বেকারি এর আগে ‘ব্লু প্ল্যাক’ পেয়েছিল। যদিও গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলটি ১৮৪০ সালে স্থাপিত। তাঁরাও এই মর্যাদার যোগ্য প্রাপক এবং আমরা ভবিষ্যতে তাঁদেরও এই সম্মান দেবো।’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!